
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
নিউইয়র্কে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে শিল্পীরা। ছবি-এনওয়াইভয়েস24
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর শনিবার (নিউইয়র্ক সময়) প্রথম প্রহরে ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট- উত্তর আমেরিকা’র বিশেষ পরিবেশনা ছিল ‘স্বাধীনতা শব্দের রণসংগীত’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। প্রবাসে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনায় উজ্জীবিত সংগঠনসমূহের সহযোগমূলক যৌথ অংশগ্রহণে বিশেষ এই পরিবেশনা অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, কবি শামসুর রাহমান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও মুমু আনসারীর রচনার অংশবিশেষ অবলম্বনে রচিত এই পান্ডুলিপি বিনির্মাণ, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন জোটের আহবায়ক মিথুন আহমেদ। সংযুক্ত নির্দেশনায় আবির আলমগীর ও সেমন্তী ওয়াহেদ। বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন আশরাফুল হাসান বুলবুল, মিনহাজ আহমেদ,পারভিন সুলতানা, সাবিনা হাই উর্বি, শামা শ্যামলিপি, মুমু আনসারী, তাহরিনা পারভিন প্রীতি, স্বাধীন মজুমদার , আবীর আলমগীর, সেমন্তী ওয়াহেদ। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাহফুজা আহমেদ।
নিউইয়র্কে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে শিল্পীরা।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনে এ সময় দিপ্ত প্রত্যয়ে সমস্বরে উচ্চারিত হয় ‘বাঙালি জাতির এক অবিচ্ছেদ্য অভিধান ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ। জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু। সংবিধান। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। আমাদের জাতীয় সংগীত এক অবিনাশী গান আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। আমাদের অস্তিত্বে গাঁথা এ এক অবিচ্ছেদ্য অনুভূতি।’
হতাশার মেঘ কেটে আবারো লাল-সবুজের পতাকা বাংলার পথে প্রান্তরে হাতে হাত রেখে মাথা উঁচু করে উড্ডীন হওয়ার প্রত্যাশায় উচ্চারণ করা হয়, ‘আমরা তো জানি আবারো হৃদয়ের সুবাতাসে মুখরিত হবে আগামীর ভোর। আমাদের মিছিলের পদশব্দ হবে ভারি। আসুন আমরা আবার সেই একাত্তরের অনুভূতিগুলোকে তরজমা করি। বিবেকের বোতামগুলো খুলে হৃদয় দিয়ে দেখি। এক কোটি শরণার্থীকে যারা দেশান্তরিত করেছিলো; ত্রিশ লক্ষ নিরস্ত্র লোককে ঠান্ডা মাথায় যারা হত্যা করেছিল, যাদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কয়েক লক্ষ নারী; আসুন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হই। আমরা আবারো তাদের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ হই। আসুন, আমরা আবারো বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাদের।’
হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর অংশগ্রহণে ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টায় শুরু হয়ে ১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে শহীদ বৃদ্ধিজীবীগণের ঘাতকদের চিরতরে নির্মূলে আটলান্টিকের এপাড়েও ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য অটুট রাখার সংকল্পে সমাপ্তি ঘটে এ উদযাপনের। এ উপলক্ষে রাজপথে চিত্রাঙ্কনের একটি পর্বও ছিল। পথচারিরা থমকে দাঁড়িয়ে তা গভীর মনোযোগের সাথে অবলোকন করেছেন।
Posted ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
nyvoice24 | New York Voice 24