
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ভ’টান, ভারত এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের গরিবের চেয়েও গরিব পরিবারের শিশুদের ভাগ্য উন্নয়নের অভিপ্রায়ে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘কচিকন্ঠের আসর’র ৪৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে জমকালো এক সমাবেশ হলো ২৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ডফেয়ার মেরিনা পার্টি হলে। বিভিন্ন দেশের ছোট্টমনিরাও এসেছিল মা-বাবার সাথে। প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেন বাংলাদেশ থেকে শুরু এবং পরবর্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক অলাভজনক সংস্থার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘কচিকন্ঠের আসর’র এই ৪৯ বছরের কর্মকান্ডের ধারাবিবরনী। স্প্যানিশ, আফ্রিকান, ভারতীয়, বাংলাদেশী ছোট্টমণিদের নাচ, গান আর আলোচনা তন্ময় হয়ে সকলে শ্রবণ করেন। তরুণ-তরুণী এবং যুবক-যুবতীরাও বিবৃত করেন এই সংগঠনের মাধ্যমে নিজেরা কীভাবে বহুজাতিক সমাজের একটি অংশে পরিণত হয়েছেন।
কচিকন্ঠের পরিচালনা-পর্ষদের সদস্য-কর্মকর্তারা। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
কচিকন্ঠের আসরের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট হেমায়েত হোসেইন এ সময় এ সংবাদদাতাকে জানান, আমরা কাজ করছি নিরবে-নিভৃতে। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির শিশুদেরকে আমরা নিজ নিজ মা বাবার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে রাখতে কাজের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বেড়ে উঠার ক্ষেত্রেও নানা দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছি। শিক্ষা গ্রহণের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেতে আমরা যথাযথ পরামর্শ প্রদান করি। গত ৪৯ বছরে আমরা কমপক্ষে কয়েক লাখ শিশুকে এ ধরনের সহায়তা দিয়েছি। এখনও নানা কর্মসূচি চলছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়।
মৃদুভাষী হেমায়েত হোসেইন বললেন, ২০০১ সালে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কচিকন্ঠের কার্যক্রম শুরু করেছি। এ যাবত ৮টি স্টেটে কচিকন্ঠের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যেই তালিকাভ’ক্ত হয়েছে ১০ হাজার শিশু-কিশোর। আসছে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে কচিকন্ঠের আসরের আরেকটি সমাবেশ হবে। সে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
কচিকন্ঠের আসরের প্রধানকে বিশেষ সম্মাননাসূচক সার্টিফিকেট প্রদান করেন এটর্নী মঈন চৌধুরী। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের পরিচালনা পর্যদের সদস্য-কর্মকতাগণকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরা হলেন সিইও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিব এ হোসেইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং জনসংযোগ বিষয়ক পরিচালক হোমায়রা হোসেইন, নির্বাহী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুন এ চৌধুরী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক শাহীন এ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক পরিচালক চন্দন চৌধুরী, প্রোগ্রাম সম্পর্কিত পরিচালক নূর এম মুয়ীদ, পরিচালক-নাসরীন সুলতানা এবং শাহিদা আরবী।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্যে বেশ কজন শিশুকে মেডেল প্রদান করা হয় বিপুল করতালির মধ্যে। এ সময় ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ এবং ইমিগ্রেশন বিষয়ক খ্যাতনামা এটর্নী মঈন চৌধুরী কচিকন্ঠের কর্মকান্ডের প্রশংসাসূচক একটি প্রক্লেমেশন প্রদান করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হেমায়েত হোসেইনকে।
এরপর কচিকন্ঠের ছোট্টমণিরা নাচ ও গান পরিবেশন করে। পরিচালনা পর্যদের অন্যতম সদস্য চন্দন চৌধুরীও দেশের গান পরিবেশন করে সকলকে অভিভ’ত করেন।
Posted ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
nyvoice24 | New York Voice 24