
অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হত্যা মামলা থেকে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনকে ‘বাঁচিয়ে’ প্রতিবেদন দাখিলের ঘটনায় সানজিদার জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে এই বরখাস্তের খবর এল।
রোববার স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “ডিএমপির সাবেক এডিসি সানজিদাকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন।
“তাই সানজিদা আফরিনকে সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হল। বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই নিউ মার্কেট এলাকায় নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী এবং নিউমার্কেট এলাকার হকার মো. শাহজাহান।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই দুই হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর মধ্যে গত বুধবার দৈনিক প্রথম আলোর এক খবরে বলা হয়, ওই দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই’ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এডিসি সানজিদা আফরিন তাকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান পরিদর্শক জাহাঙ্গীর। এর মধ্যে রোববার তাকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন এল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে নির্যাতনের এক ঘটনায় সানজিদার নাম আলোচনায় আসে। ওই ঘটনায় নাম আসে তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ও পুলিশের তৎকালীন আলোচিত এডিসি হারুন অর রশীদেরও।
ওই ঘটনায় ডিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল বারডেম হাসপাতালে। সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ছিলেন এডিসি সানজিদা।
“সেখানে সানজিদার স্বামী, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন প্রথমে এডিসি হারুনকে মারধর করেন। তার জের ধরে ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে থানায় নেওয়া হয়েছিল।”
ওই সময় সানজিদা একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করে, “তার সহকর্মী এডিসি হারুন নির্দোষ। বারডেম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী এডিসি হারুন। ওই সময় তার স্বামী মামুন ‘গুণ্ডাপাণ্ডা এনে’ হারুনকে মারধর করেন।”
Posted ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
nyvoice24 | New York Voice 24