
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
বাঙালির বিজয়ের আনন্দকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণের সাথে বাঙালির ঐহিত্যবাহি পিঠা-কে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’। ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ। বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু বলেন, সময়ের প্রয়োজনে এবং বাস্তবতার আলোকে সকল প্রবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের জন্যে ঐক্যের বিকল্প নেই এবং একইধারায় মূলধারার রাজনীতিতে জোরালো সম্পর্ক রচনা করতে হবে। বক্তারা বাঙালি কালচারের সাথে প্রবাস প্রজন্মকে একিভ’ত রাখার ক্ষেত্রে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের প্রয়াসকে অভিনন্দিত করেছেন। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা পত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও। এসব পর্বে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরের মধ্যে ছিল সৃজিতা হিয়া, আদ্রিকা সেন ভৌমিক, রাইয়সি বিশ্বাস, অস্মিতা মন্ডল, প্রেয়ন্তী পাল, শ্রেয়া মন্ডল, পূজিতা পাল, সপ্তর্ষি বণিক, পূর্ণা দে, দুর্গা ক্ষত্রিয়, অদিতা পাল চৌধুরী, সহেলী দেবনাথ, সৈয়দা জান্নাতুল ফেরদৌস, পৃথিলা রায়, সুস্মিতা হালদার, অনামিকা চন্দ, অঙ্কিতা বিশ্বাস প্রমুখ।
কবিতা আবৃত্তিতে শিশু-কিশোরের মধ্যে ছিলো আগামী পৃথ্বীরাজ সেন, রূপন্তি সাহা, অর্ক ঘোষ, অথরা ঘোষ, দুর্জয় ভদ্র, প্রান্তি ভদ্র, পূর্ণাতম সাহা পূর্ণা, প্রিনা নন্দী, সুদীপ নন্দী, সৌভিত রায় চৌধুরী এবং পূর্ণা দে। এ পর্বে যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন প্রজ্ঞাতম সাহা প্রজ্ঞা। কবিতা আবৃত্তিতে আরো ছিলেন মুনমুন সাহা, রাজু বিশ্বাস, রমা, সুমিতা সেন, সুমা রোজারিও, প্রদীপ কুন্ডু, ড. সবিতা দাস, ফাতেমা গিনি, সুলেখা পাল, তাপস সাহা, ড. উৎপল চৌধুরী, সুমিতা বিশ্বাস, আবীর আলমগীর, ধনঞ্জয় সাহা, শিখা ঠাকুর, জুঁই ইসলাম, ফারজীন স্বর্ণা, উইলী নন্দী, রীনা রতন, শিবলী রহমান, ডা চৌধুরী সরোয়ার হাসান এবং প্রাঞ্জলী দাস।
চিত্রাঙ্কণে অংশগ্রহণ এবং সার্বিক তত্বাবধায়কগণের মধ্যে ছিলেন আগামী পৃথ্বীরাজ সেন, রূপন্তি সাহা, স্নেহা শীল, অর্ক ঘোষ, ঋদিমা সাহা, কৌশিক আহমেদ, পূর্ণা দে, দুর্গা ক্ষত্রিয়, অথরা ঘোষ, কনক আহমেদ, প্রিয়ম দে, রাইয়সি বিশ্বাস, সত্যম আচার্যি, প্রমিতি গোপ, দেবার্পণ আচার্যি, পূর্ণাতম সাহা পূর্ণা, আরশীল কেয়াশব, আযান ই, শাহ, লেনন খালিপ, অর্জুন দাস, পরমা তালুকদার, পার্ল,অর্ণব সাহা, অনামিকা চন্দ, অঙ্কিতা বিশ্বাস, অনভিত বিশ্বাস, সুস্মিতা হালদার, দেবেশ হালদার, প্রেয়ন্তী পাল, প্রান্তি ভদ্র, অঙ্কুর পাল, প্রজ্ঞাতম সাহা প্রজ্ঞা, দুর্জয় ভদ্র, সৌভিত রায় চৌধুরী, সপ্তর্ষি বণিক, পূজিতা পাল, ড. দর্শনা দাস গাঙ্গুলী, ঋত্বিকা ব্যানার্জি, উইলী নন্দী, ঋতুজা ব্যানার্জি, প্রিনা নন্দী, রূদ্র রায়, সৈয়দা জান্নাতুল ফেরদৌস, পৃথিলা রায়, সুস্মিতা হালদার, অনামিকা চন্দ, অঙ্কিতা বিশ্বাস, পারমিতা দাস এবং দেবেশ হালদার।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেছে ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়, সৈয়দ আহমেদ বাবলা, চন্দনা ব্যানার্জি, রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, ডা. কামরুল ইসলাম, সুমিত্রা পুরকায়স্থ, মনিকা দাস, ডা. রুমা রায় চৌধুরী, অপর্না রায়, তুলসী রানী রায়, চমেন আফরোজ, জুঁই, দীপক দাস, প্রদীপ ভট্টাচার্য, ফারজীন স্বর্না, সুলতানা খানম, অমিত চৌধুরী, কানিজ আয়েশা, প্রাঞ্জলী দাস, শম্পা দত্ত, উইলী নন্দী, কুন্তল বসাক, মিলি বসাক, সাইম, গোপাল দাস, রত্না দাস, দেবিকা সরকার, মৌসুমী, কনিকা দেব, শান্তা দেব, সুতিপা চৌধুরী, পপি পাল, তপু বিশ্বাস, সুপ্রিয়া চৌধুরী, সুমিত্রা সেন, চম্পা পাল, সপ্তর্ষি বনিক, রুমা সাহা, মিতা ঘোষ, মুনমুন সাহা, রীনা রতন, সুমা রোজারিও, পূর্ণাতম সাহা পূর্ণা, শিখা ঠাকুর, ড. উৎপল চৌধুরী এবং প্রজ্ঞাতম সাহা প্রজ্ঞা।
গভীর রাতে সমাপ্ত এ অনুষ্ঠানের সকলে বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনে এই প্রবাস থেকেও সহায়তার দিগন্ত প্রসারিত করার সংকল্পে ঘরে ফিরেছেন বলে বহ্নিশিখার প্রতিষ্ঠাতা ড. সবিতা দাস জানান।
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24