
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখপাত্র এনওয়াইভয়েস২৪ এর এই সংবাদদাতাকে ৪ জানুয়ারি সকালে বলেছেন যে, ভিন্নমত সহ সঠিক তথ্য, ধারণা এবং মতামতের অবাধ প্রবাহ স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে চলমান কাজ অব্যাহত রাখবো। ই-মেলে পাঠানো প্রশ্নের জবাবসমূহ এখানে উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন : ছাত্র-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগের পর ৫ মাস অতিবাহিত হচ্ছে। আজ অবধি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। এমনকি জনজীবনেও শাস্তি-স্বস্তি ফিরেনি। এহেন অবস্থায় অন্তত: ৫০ লাখের অধিক মানুষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রমণের আশংকায় আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছে। উপার্জনকারি মানুষেরা অন্যত্র পালিয়ে থাকায় ঐসব পরিবারের মানুষেরা অবর্ননীয় দুর্দশায় নিপতিত হয়েছে। অসহায় মানুষেরা নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি খাদ্যাভাবে পড়েছেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পর্যবেক্ষণ আছে কি?
উত্তর : আমরা সকল বাংলাদেশীর জন্য নিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ফোকাসকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে থাকবো।
প্রশ্ন : ভিন্নমত পোষণকারি শতাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কথিত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্তের আগেই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এরফলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো ভীতিকর অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। সত্য প্রকাশে সাহসী হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস তথা সিপিজে ছাড়াও মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী।
উত্তর : আমরা এধরনের অভিযোগ সম্পর্কে সজাগ রয়েছি। আমরা সকল ব্যক্তির জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। ভিন্নমত সহ সঠিক তথ্য, ধারণা এবং মতামতের অবাধ প্রবাহ স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের জন্য অপরিহার্য। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালোভাবে আহবান জানাতে চাই যাতে সাংবাদিকরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ স্বাধীনভাবে এবং প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই করতে পারেন।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সমস্যা ক্রমান্বয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পর্যবসিত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের আশংকা। পাশাপাশি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলিতে সাম্প্রতিক জনসংখ্যার উপচে পড়া ভিড় তার পরিকাঠামোয় এক চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনি অবস্থায় জাতিসংঘে নানা রেজ্যুলেশন সত্বেও সাত বছর অতিবাহিত হলো। নতুন বছরে কী এ সমস্যার সমাধানে অধিকতর কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণের আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের আছে?
উত্তর : রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা করা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকার।
বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশে এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থী অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকটে মানবিক সহায়তার একক বৃহত্তম দাতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যদেরকেও এই প্রচেষ্টায় অংশ নিতে স্বাগত জানায়।
আমরা রোহিঙ্গা এবং বার্মার অন্যান্য দুর্বল গোষ্ঠীর সদস্যদের সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সাথে কাজ চালিয়ে যাব। যারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে,আমাদের সহায়তা শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগের অ্যাক্সেসকে জোরদার করতে সাহায্য করছে, সেইসাথে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং বিশুদ্ধ পানির অ্যাক্সেস সম্প্রসারণ করছে।
Posted ৭:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24