
অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনুসের শাসনামলে গণমাধ্যমের অবস্থা ভয়াবহ। সাংবাদিকরা এখন সবচেয়ে বড় টার্গেট। মামলা, গ্রেপ্তার, হত্যার শিকার হচ্ছেন তারা, অথচ খুনিরা মুক্ত। গত পাঁচ মাসে গণমাধ্যমের উপর দমন-পীড়নের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, চাকরিচ্যুতি ও অর্থনৈতিক নিপীড়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সংবাদপত্র অফিসে হামলা, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ বন্ধ করা হয়েছে। গণমাধ্যমের মালিকানাও জোরপূর্বক দখল করা হচ্ছে। আজ সাংবাদিকতা অপরাধের শামিল হয়ে গেছে!
গত পাঁচ মাসে দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সরকার ভয়ঙ্কর কৌশল নিয়েছে। এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় : ৬০০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা। ৫০ গণমাধ্যম ও প্রেস অফিসে হামলা। ৬ সাংবাদিক হত্যা। ১৮ সাংবাদিক গ্রেপ্তার। ১০০ সাংবাদিক আহত। ১০০০ সাংবাদিক চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য করা। ৯৬ সাংবাদিকের আর্থিক বিবরণী চাওয়া। ১৬৮ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল। ১৮ সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ। ৮৩ জনের প্রেস ক্লাব সদস্যপদ বাতিল। বেশিরভাগ মিডিয়া হাউসের মালিকানা জোরপূর্বক দখল।
এটাই কি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা? সরকার যেন সত্য বলার পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে চায়। সাংবাদিকরা আজ সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে। যদি স্বাধীন সাংবাদিকতা এভাবে নিঃশেষ হয়ে যায়, তবে দেশ ও জনগণের জন্য অন্ধকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
Posted ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24