জো বাইডেন, ৬ কংগ্রেসম্যান এবং আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলাগুলোও খারিজ হয়েছে

যুুক্তরাষ্ট্র আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ

বিশেষ সংবাদদাতা   প্রিন্ট
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫   সর্বশেষ আপডেট : ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

যুুক্তরাষ্ট্র আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ রোবার্ট জে হোয়াইট খারিজের এই আদেশ প্রদান করেছেন এবং খারিজের কপি ২৯ জানুয়ারি এ সংবাদদাতার হস্তগত হয়েছে। এটি ছিল দেওয়ানি মামলা এবং শুনানীর পর অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি নির্দ্ধারিত হবার কথা। এতদসত্বেও কোন ধরনের শুনানী ছাড়াই কেন মামলাটি খারিজ করা হলো-এমন প্রশ্নের উত্তরে ঐ আদালতের একজন কর্মকর্তা মামলার নথি উদ্ধৃত করে এ সংবাদদাতাকে জানান যে, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মামলা দায়ের করার সময় ফি হিসেবে ৪০২ ডলার দিতে হয়। এজন্যে বাদি রাব্বি আলমকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বিধায় ৬০ দিন পর তা খারিজের আদেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২:২৪-সিভি-১৩০৫০ আরজেডব্লিউ-এপিপি নম্বরের মামলাটি গত বছর ১৫ নভেম্বর দায়ের করেছিলেন মিশিগানের বাসিন্দা এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদানকারি রাব্বি আলম এবং তার দুই ভাই রিজভি আলম ও শেরে রাসু আলম। মামলা দায়েরের পর গত ২৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাব্বি আলম জানিয়েছিলেন যে, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস সাধারণ মানুষের জীবনের শান্তি স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। দেশব্যাপী হত্যা অগ্নিসংযোগ লুটপাট শুরু করেছে।’ রাব্বী আলম আরো বলেন, ‘তিনি এ মামলাটি দায়ের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ণ ডিস্ট্রিক্ট অব মিশিগানের আদালতে। প্রায় ৪ সপ্তাহ পরে গত ২০ নভেম্বর মামলাটি আদালতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। (যার নম্বর- ২:২৪-সিভি-১৩০৫০০)। উক্ত মামলাটি বিচারের দায়িত্বভার পেয়েছেন বিচারক রবার্ট জে পিটার।’ এক প্রশ্নের জবাবে রাব্বী আলম বলেছিলেন যে, ‘এ মামলার সঠিক রায় হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতাচ্যুত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসানো সম্ভব হবে।’

নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে রাব্বি আলম (বাম থেকে দ্বিতীয়)। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।

অভিযোগ রয়েছে যে, সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে রাব্বি আলম দেশ ও প্রবাস থেকে মোটা অংকের তহবিল সংগ্রহ করেছেন মামলাটি পরিচালনার জন্যে। অথচ মাত্র ৪০২ ডলারের ফি তিনি আদালতে জমা দেননি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৬ জুন এই রাব্বি আলম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একই আদালতে ৫:২৩-সিভি-১১৫২৩-জেইএল-ইএএস নম্বরের মামলা করেছিলেন। সেটিও ফি ছাড়াই প্রদান করা হয়েছিল। এবং দুদিন পর তা মাননীয় আদালত উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই রাব্বি আলম ও তার অপর দু’ভাই মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন এবং একই বছরের ২ আগস্ট মাননীয় জজ জুডিথ ই লেভি মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই মামলা সাবমিটের পর কোর্ট থেকে মামলার নম্বর পেয়েই গণমাধ্যমে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জো-বাইডেনের কাছে রিপাবলিকান ৬ কংগ্রেসম্যানের দেয়া বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত প্রায় ৪০টি অভিযোগের কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই একতরফাভাবে র‌্যাবের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি আরোপ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ, ১৮কোটি জনগণকে অপমান, অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছেন বাইডেন ও তার সরকার। যা ক্রিমিনাল অপরাধ।এ জন্যই তিনি একজন সচেতন নাগরিক, দায়িত্ববোধ ও দেশের সুনাম তথা জনগনের স্বার্থেই এমন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক দ:ুখ প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরোপিত ভিসানীতি দ্রুত প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই মামলা পরিচালনার জন্যেও তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রীণ সিগন্যালে মোটা অংকের তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন রাব্বি আলম। এখানেই শেষ নয়, রাব্বি আলম ৬ কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধেও একই আদালতে মামলা করেছিলেন ২০২৩ সালের ১০ জুলাই (৪:২৩-সিভি-১১৬৪০-এসডিকে-এপিপি)। কংগ্রেসম্যানরা ছিলেন ব্যারি মোর, টিমোথি ফ্লয়েড বারসেট, কিইথ সেল্্ফ, ওয়ারেন ডেভিডসন এবং বব গুড। এ মামলার জন্যে অবশ্য ৪০২ ডলারের ফি প্রদান করা হয়েছিল ২৫ জুলাই। মামলায় কংগ্রেসম্যানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ২০২৩ সালের মে মাসে প্রেরিত এক পত্রে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনসহ ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক অপকর্ম ও অনিয়মের অভিযোগ উল্লেখ করেছিলেন। মামলায় রাব্বি আলম দাবি করেন যে, ঐসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র ও সুশাসনকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে মহলবিশেষের স্বার্থে কংগ্রেসম্যানরা মিথ্যার অবতারণা করেছেন-যা গুরুতর অপরাধের সামিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসম্যানরা আদালতের কাছে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন যে, কংগ্রেসম্যানদের বক্তব্য-বিবৃতির ব্যাপারে মিশিগানের এই ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারের কোন এখতিয়ার আছে কিনা। এরপর বাদি রাব্বি আলমের কাছে থেকে মামলাটি পরিচালনার সমর্থনে সঠিক কোন বক্তব্য না পেয়ে গত বছরের ৩০ মে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ সেলিনা ডি কুমার বিবাদিগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি ত্রুটিপূর্ণ, তা জানিয়ে দেয়া হয় বাদিকে। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।

‘ওরা প্রধানমন্ত্রীর লোক’ আল জাজিরা কর্তৃক বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারিত একটি অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারের পর এই রাব্বি আলম ও তার ভাইয়েরা বাদি হয়ে একই মাসের ২২ তারিখে মিশিগান ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে (২:২১-সিভি-১০৩৮৯-এলভিপি-এপিপি) মামলা করেন এবং ঐ অনুষ্ঠানের খেসারত হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ ছাড়াও প্রচারিত তথ্যচিত্রটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবি তোলা হয়। মামলার সংবাদ জানাতে নিউইয়র্কে ঐ বছরের ১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে কথিত মামলার বাদি হিসেবে আরো মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হিন্দাল কাদির বাপ্পা এবং জেড চৌধুরী জয়। মামলার বিবাদীরা ছিলেন- আল জাজিরা ইংলিশ, সাংবাদিক কনক সারোয়ার, ইলিয়াস হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জুলকার নাইন সায়ের এবং ডেভিড বার্গম্যান ও আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক। এই মামলাটির ফি প্রদান করা হলেও পরবর্তিতে মামলাটির শুনানীর মধ্যেই বাদি পক্ষ থেকে খারিজের আবেদন জানানো হয় ঐ বছরেরই ৫ আগস্টে। এবং সে অনুযায়ী একইদিন মাননীয় জজ লিন্ডা ভি পারকার খারিজের আদেশ দেন। সে সময়ে চাঞ্চল্যকর এই সংবাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাবার কথা জানিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের গ্রীণ সিগন্যালে মোটা অংক হাতিয়ে নেন মামলার বাদিরা-এমন কথা ব্যাপকভাবে চাউড় হয়েছিল।

দায়েরকৃত প্রতিটি মামলার এক নম্বর বাদি রাব্বি আলম নিজেই আইনজীবী হিসেবে তা সাবমিট করেছিলেন। নিজের মামলা নিজে পরিচালনা করা গেলেও অন্য বিবাদিগণের প্রতিনিধিত্ব করার আইনগত অধিকার একজন অ-আইনজীবীর নেই বলে অভিজ্ঞ এটর্নীরা এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন। সরেজমিনে তদন্তকালে আরো জানা গেছে, রাব্বি আলম নিজেকে ‘ডক্টর’ হিসেবে দাবি করেন, কখনো ‘এটর্নী’ আবার কখনো মার্কিন সেনাবাহিনীর ‘মেজর জেনারেল’ হিসেবে পরিচিতি দেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ইস্যুকে পুঁজি করে তিনি মামলার তামাশা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সংক্ষুব্ধ যে কোন ব্যক্তি একটি আবেদন সাবমিট করলেই নম্বর দেয়া হয়। রিসিভিং এই নম্বর অর্থাৎ ইনডেক্স নম্বরটিকেই রাব্বি আলম মিডিয়ার কাছে মামলার ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং তা প্রচারের পরই নিজের স্বার্থ হাতিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন। জানা গেছে, রাব্বি আলমের এহেন কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রবাসের দলমত-নির্বিশেষে সকলেই অবহিত হলেও অতি সম্প্রতি তাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। অথচ এর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালে রাব্বি আলমকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ২০২৩ সালের ৬ জুলাই এক বিবৃতিতে রাব্বি আলমের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আর কোন ধরনের সম্পর্ক থাকলো না বলে উল্লেখ করে তার সঙ্গে সাংগঠনিক কোন কাজ না করার জন্যেও সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মিশিগান ইউনিটের সভাপতি আহাদ আহমেদ ২৯ জানুয়ারি এ সংবাদদাতার সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ও দলের এই ক্রান্তিকালে নিউইয়র্কের কিছু তথাকথিত নেতা, হাইব্রীড বহিরাগতদেরকে মুনাফার বিনিময়ে দলিয় পদপদবি দিয়ে দল ও দেশের ক্ষতিকারক কাজ একের পর এক করিয়ে নিচ্ছে। কিছু বললেই তারা হাই কমান্ডের দোহাই দেন। এদের প্রতিটি কথাবার্তা কার্য্যক্রম উন্মাদের মত । দল এবং দেশকে আবার ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে সুচিন্তিত এবং সুপরিকল্পিত কার্যক্রমের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আহাদ আহমেদ।

মামলা দায়েরের ফি না পেয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি খারিজ করেন মাননীয় জজ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।

এভাবে একেরপর এক মামলার নামে তামাশা করার পরিপ্রেক্ষিতে মিশিগান ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কম্যুনিটির ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশনের পরিচালক ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা এটর্নী মঈন চৌধুরী। ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ সংবাদদাতাকে মঈন চৌধুরী বলেন, আমেরিকা হচ্ছে আইনের দেশ। এদেশে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয় তাহলে তার মামলা করার অধিকার আছে। তবে যিনি মামলা করবেন তার সে অধিকার বা এখতিয়ার আছে কিনা, তাকে কেউ নিয়োগ দিয়েছে কিনা, কোন এটর্নী নিয়োগ দেয়ার আগে দেখা হয় যে, তার সে অধিকার আছে কিনা। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে মামলা করতে স্বীকৃত এটর্নী লাগবেই। এরপর হচ্ছে যে, কি কারণে মামলা করতে চাচ্ছেন। রাব্বি আলমের মামলার ঘটনাবলিতে যা দেখলাম তাতে তার কোন স্ট্যান্ডিং পজিশন নেই। তাকে কেউ নিয়োগও করেনি। স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে নিজে নিজেই মামলা করেছেন এবং সাথে রেখেছেন ভাই-আত্মীয়-স্বজন। স্বজনের কেউ আবার এদেশে থাকেন না। এটর্নী মঈন বলেন, মামলার বিবাদি/গণের কাছে মামলার নোটিশ যথাযথভাবে পাঠাতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মামলা পরিচালনার জন্যে আইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লোকজন তথা লাইসেন্সধারি এটর্নীর বিকল্প নেই। প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেসম্যান, প্রধান উপদেষ্টার মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলার নামে তামাশার পরিণতি কী হতে পারে-সে ধারণা থাকা জরুরী সংশ্লিষ্টদের।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী ২৯ জানুয়ারি এ সংবাদাতাকে জানান, রাব্বি আলম মিথ্যাচার আর ভন্ডামিতে এতটাই বেপরোয়া হয়েছেন যে, এখোন তিনি নিজেকে ইউএস আর্মির মেজর জেনারেল হিসেবে পরিচিতি দিতেও কুন্ঠা করছেন না। গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’র জুম মিটিংয়ের প্রচারণায় নিজেকে ‘মেজর জেনারেল ডা. রাব্বি আলম পিএইচডি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে এ সংবাদদাতাকে জানান, শেখ হাসিনা টেলিফোনে বক্তব্য দেবেন এবং সেজন্যে আয়োজকদের বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বনের কথা বলে দেশ ও প্রবাস থেকে এক কোটি টাকার চাঁদা সংগ্রহ করেছেন এই রাব্বি আলম। এর আগে ড. ইউনূস, জো বাইডেন এবং আল জাজিজরার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খরচ বাবদ মোটা টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনিও বিতশ্রদ্ধ এই ভন্ড-প্রতারক আর মিথ্যাচারে সিদ্ধহস্ত ব্যক্তির আচরণে। এই নেতা হাই কমান্ডের মনোভাব প্রসঙ্গে দু:খ করে আরো জানালেন যে, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আপনারা কেউই তো কিছু করেননি। উনি অন্তত: একটি মামলা তো করেছেন’। এমন মন্তব্য দলের শীর্ষ পর্যায়ের কারো কাছে এই দু:সময়েও শুনতে হয়-এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কী থাকতে পারে-উল্লেখ করেন এই নেতা।

Facebook Comments Box

Posted ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

nyvoice24 |

Address
New York
Phone: 929-799-2884
Email: nyvoice24@gmail.com
Follow Us