নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ
ঐক্য পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
২৪ জানুয়ারি শুক্রবার নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লংআইল্যান্ডে ফ্লোরালপার্কের গোল্ডেন ইয়ার্স কম্যুনিটি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট ্রহিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ডা. টমাস দুলু রায়ের সভাপতিত্বে, আরেক সভাপতি ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্যের তত্বাবধানে, এবং সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুগোপের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সংগঠনের সদস্য, ডিরেক্টর ও কর্মকর্তাগণ ছাড়াও সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মিলে আশিজনের অধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৫ আগষ্ট ’২৪-এর পর থেকে বাংলাদেশে সরকারী প্রশ্রয়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সংঘটিত সামপ্রদায়িক সন্ত্রাস, এবং সংস্কারের নামে স্বাধীনতার মূল চেতনা ভাষা-ভিত্তিক বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী অশুভ কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য পেশ করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত ও সদস্য-সচিব চন্দনসেন গুপ্ত, সংগঠনের আরেক সভাপতি ড. রণবীর বড়ুয়া, ডিরেক্টর শিতাংশু গুহ, ড. দিলীপ নাথ.পরেশ সাহা,তপন সেন ,প্রদীপ মালাকার, ইউনাইটেড হিন্দুজ অফ ইউ. এস.এ.’র সভাপতি ভজন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামী, বীরমুক্তিযোদ্ধা অবিনাশ আচার্য্য, রোজালিন কষ্টা, রিণা সাহা, রূপকুমার ভৌমিক, রণজিৎ রায়, অজিত চন্দ, অনুকুল অধিকারী, রণজিৎ ভাদুড়ী, রমেশ নাথ, রাখি মিত্র,পার্থ তালুকদার, কুমার বাবুল সাহা, রণজিৎ পুরকায়স্থ,পরেশ ধর, চঞ্চনা চাকমা, সুভাষ সাহা, গৌতম সরকার, মৈত্রিশর বড়ুয়া, পিয়াস দাস সুমন, সুজন রায, অমিত ঘোষ, সুকান্ত দাস টুটুল, সুমন মিত্র, রাজীব নন্দী, জলি সাহা, প্রদীপ কুন্ডু, মুনমুন সাহা, বামেশ রায়,বিকাশ বড়ুয়া, সঞ্জিত ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ সরকার, হরিগোপাল বর্ম্মণ, আশীস কুমার পাল, সাধন দাস, গোপাল গোপ, নিতাই নাথ, প্রদীপ সূত্রধর, মোহনজী বানিয়া, মিতুল ভৌমিক, স্টিফেন মন্ডল প্রমুখ।
দেশে তাঁদের বিপন্ন স্বজনদের মর্মস্পর্শী দু:খ-দুর্দশার করুণ বিবরণ প্রদান করতে গিয়ে বক্তাগন বলেন যে, দেশ এখন কার্যত: তারাই চালাচ্ছে যারা ১৯৭১ সালে গণহত্যা করেছিল এবং আজও সেটাকে জোর গলায় সমর্থন করে। প্রায় সবাই বলেন যে, এক্ত্তারের পরাজিত শক্তির ক্রীড়ানক ড: ইউনূস-রিয়াজ এবং ছাত্র সমন্বয়ক মাহফুজরা সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম-ইসলাম বহাল রেখে, ধমর্ নিরপেক্ষতা ও ভাষা-ভিত্তিক বাঙালী জাতীয়তাবাদ ছেঁটে দিয়ে বাংলাদেশকে মুসলিম বাংলায় পরিণত করতে উদ্যত। তাঁরা বলেন গত ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে বর্বর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে সেটা ঐ পরিকল্পনারই অংশ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েকজন বক্তা বলেন যে, যেহেতু কোন সরকারই কোনদিন সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচার করেনি, এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারও ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করেনি,তাই বাংলাদেশের ১৮ মিলিয়ন সংখ্যালঘু নাগরিকের বাঁচার একমাত্র পথ দেশে তাঁদের জন্য কয়েকটি সংরক্ষিত স্বায়ত্বশাসিত এলাকা গঠন করা এবং সেপারেট ইলেক্টরেট চালু করা যা ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদেও জন্য ইংরেজ সরকার করে গিয়েছিল তারা স্রেফ সংখ্যালঘু বলে, এবং যা ১৯৫৪ সনের নির্বাচন পর্যন্ত পাকিস্তানে চালুছিল।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় যে, এছাড়াও একটি বিশদ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করতে হবে, যার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের “সংখ্যালঘু” বলে এবং অদিবাসীদের “অদিবাসী” বলে স্বীকৃতি দিতে হবে, ইসলামী ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ফাউন্ডেশন, এবং একটি সংখ্যালঘু কমিশন ও মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে, এবং, যুক্তরাষ্ট্রের মত হেইট ক্রাইম ও স্পীচ আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কোনকোন বক্তা ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দকে এই মর্মে পরামর্শ দেন যে, তাঁরা যেন অবিলম্বে নোবেল কমিটিকে ড. ইউনূসের সেকুলার ডেমোক্র্যাসি বিরোধী এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের তথ্যটি জানান। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে অবিলম্বে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে অনুরোধ জানান, এবং ওনাকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, বর্ডারগার্ড, এবং পুলিশ, যাদের জাতিসংঘ নিয়মিতভাবে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োগ করে থাকে, তাঁরা তাঁদের নিজের দেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের রুখে না দিয়ে কখনও কখনও সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসীদের সহয়োগিতা করছে, যেমন চট্টগামের হাজারি গলিতে এবং উৎসব মন্ডল ও রবিদাসের মত সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের লাঞ্ছনার ঘটনায়।
এর প্রতিক্রিয়ায়, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সংখ্যালঘুদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বন্ধ করে দিতে শ্রীচিন্ময় প্রভুকে কারারুদ্ধ করা, হাজারি গলিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীদের প্রত্যক্ষ সহযেগীতায় সংঘটিত সামপ্রদায়িক সন্ত্রাস, ক্রিসমাস-ডেতে ১৭টি খৃষ্টান বাড়ি অগ্নিসন্ত্রাসে ধ্বংস করার মত সকল খবরের সচিত্র বিবরণ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ ইউ. এন. সেক্রেটারি জেনারেল, প্রেসিডেন্ট ট্রাস্প, সেক্রেটারি মার্কো রুবিয়ো, এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দও কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, এবং তৎসঙ্গে তাদের কাছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের খসড়া বিলটিও পাঠিয়েছেন, যা ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হয়েছিল।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুগোপ ও সভাপতি দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী সংখ্যালঘু ব্যাক্তিদের দেশে বিপন্ন সংখ্যালঘু নাগরিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান, এবং তা’তে আগ্রহীজনদেও ৭১৮-৬৯০-৫৩১৩ বা ৬৪৬-২৫৬-৮০০৬ ফোনে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদে সম্পৃক্ত হতে অনুরোধ জানান। এলাকার দাবি
Posted ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24