নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
মাদক পাচার ঠেকানো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গিকার করায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্যে স্থগিত ঘোষণা করলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এই নির্দেশ কার্যকর হবার কথা ছিল। সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম টেলিফোনে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেন ট্রাম্পের সাথে। এরপরই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানান যে, শুল্ক আরোপের বিষয়টি ৩০দিনের জন্যে স্থগিত হয়ে গেছে। বিনিময়ে মেক্সিকো ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত বরাবর। এদেও কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ঠেকানো, বিশেষ করে ফেন্টানিল পাচার রোধ করা। বিভিন্ন দেশের লোকজন কানাডায় অবস্থানের পর যাতে বেআইনীপথে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারটিও জোরদারের অঙ্গিকার করেছেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম। একইভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিনও ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন যে, মাদক পাচার ঠেকাতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবেন। বেআইনীভাবে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কেউ ঢুকতে পারবে না বলেও অঙ্গিকার করেছেন জাস্টিন। এরপরই ট্রাম্প তার ট্রুথ সোস্যালে উল্লেখ করেছেন, আমি খুব খুশী প্রাথমিকভাবে হলেও সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায়। এজন্যে গত শনিবার শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম তা ৩০ দিনের জন্যে স্থগিত করা হলো। দেখি কানাডা কতটা আন্তরিকতার সাথে ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করে। সকলের জন্যেই ন্যায়নিষ্ঠ হবে বলে আশা করছি।
তবে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চীনের পণ্যের ওপর ১০% শুল্কারোপের ঘোষণাটি পরিবর্তন করা হয়নি। ট্রাম্প গণমাধ্যমে বলেছেন, চীনের সাথে কথা হতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তৃতীয় দিন পর্যন্ত চীনের সাথে কথা বলার সম্ভাবনাটি খোলা থাকুক।
চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পাল্টা ঘোষণা করেছিল দেশ ৩টি। তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য তাদের দেশে রফতানির ওপর শুল্ক আরোপের কথা ভাবছিলেন। এভাবেই বাণিজ্যিক সংঘাতের আশংকা করা হচ্ছিল। নিকট প্রতিবেশী দেশের সাথে এ ধরনের সংঘাতের পরিণতি কারো জন্যে ভাল হয় না বলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করেছিলেন। ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফেক্শ্চারার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (সরকার সম্পর্কিত) কিপ ইডিবার্গ বলেছিলেন, শুল্কারোপের ব্যাপারটি মার্কিন শিল্প কারখানায় হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরী করবে। কল-কারখানায় অনিশ্চয়তার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। এরচেয়ে বড় ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ দ্বিতীয়টি নেই। তাই অবিলম্বে আলোচনার মধ্যদিয়ে বিষয়টির সুরাহা হওয়া জরুরী বলেও ট্রাম্পের প্রতি তিনি আহবান জানিয়েছিলেন।
মেক্সিকো এবং কানাডার সাথে শেষ মুহূর্তের এই সমঝোতায় স্বস্তি এসেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষও স্বস্তিবোধ করছেন। কারণ, পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ গ্রহণের ঢেউ আমেরিকার গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপেও বিস্তৃত হবার আশংকা ছিল।
Posted ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24