সুসম্পর্কের জন্য শুল্ক ছাড় নয়, মোদিকে ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রিন্ট
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   সর্বশেষ আপডেট : ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

সুসম্পর্কের জন্য শুল্ক ছাড় নয়, মোদিকে ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে নয়! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এ কথা।

ঘটনাচক্রে ওই সাক্ষাৎপর্বে ট্রাম্পের সঙ্গেই হাজির ছিলেন তার সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ধনকুবের ইলন মাস্ক। যার সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ট্রাম্প সরকার ভারতের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। তারপর তার এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই।

মোদির সঙ্গে ওই বৈঠকে যে তিনি আমেরিকার শুল্কনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “তিনি (মোদি) এখানে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম- আপনি শুল্ক ধার্য করুন বা না-করুন, আমি করবই।”

শুধু ভারত নয়, প্রতিটি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যেই তিনি শুল্ক বসাবেন বলেও স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প।

মোদির ওই সফরেই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহর ৫০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে ভারত এবং আমেরিকা। তবু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তো বটেই, বাণিজ্য সহযোগীদের উপরও পাল্টা আমদানি শুল্ক বসাতে চলেছে তার প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের উপরে কতটা শুল্ক বসবে, তা এপ্রিলের দিকে স্পষ্ট হবে। ভারত পাল্টা কোনও পদক্ষেপ নেবে কি না, তা বোঝা যাবে তার পরেই। যদিও ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) বসানোর ঘোষণায় ইতোমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

ভারতের সরকারি সূত্রের খবর, পোশাক, জুতাসহ ভারতের শ্রম নিবিড় পণ্যের উপরে আমেরিকা এখনই ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। অন্যদিকে, আমেরিকা থেকে আসা একটা বড় অংশের পণ্যের উপরে ভারত চাপায় ৫ শতাংশ কর। মোদির সফরের আগেই অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতজাত পণ্যের উপর নতুন করে শুল্ক বসানোর বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই নীতি কার্যকর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমেরিকার একটি বাণিজ্য সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্প ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চাপালে ভারতের সম্ভাব্য বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০০ কোটি ডলার। সবচেয়ে ক্ষতি হতে পারে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলোর এবং কৃষি ক্ষেত্রে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের বৈঠকে কি মোদি এ নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি? টিভি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের জবাব, “আমার সঙ্গে তর্ক করে কেউ পারবেন না। আমি যদি বলি ২৫ শতাংশ (শুল্ক), তিনি বলবেন ‘উফ ভয়াবহ’। কিন্তু আমি তা বলব না। আমি শুধু বলি, আপনি যা-ই ধার্য (শুল্ক) করুন না কেন, আমি করবই।”এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, ইকোনমিক টাইমস

Facebook Comments Box

Posted ৯:০০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

nyvoice24 |

Address
New York
Phone: 929-799-2884
Email: nyvoice24@gmail.com
Follow Us