
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ
- ফাইল ছবি
অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের অভিযানের পর অবৈধরা যাতে কোন ধরনের সরকারী সুযোগ-সুবিধা না পায় সে ধরনের একটি নির্বাহী আদেশ জারি করলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ফ্লোরিডা থেকে হোয়াইট হাউজে ফেরার সময় এয়ারফোর্স-ওয়ানে স্বাক্ষরিত এই আদেশ অনুযায়ী, অবৈধদের ঔরসে জন্ম নেয়া সিটিজেন শিশু-কিশোরেরা ফেডারেল সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। চিকিৎসা-সুবিধাও অবারিত। ট্যাক্স রিটার্নের পর অন্যদের মত ঐসব শিশু-কিশোরের জন্যেও ফেডারেল ভর্তুকির চেক ইস্যু হচ্ছে। নিউইয়র্ক, লসএঞ্জেলেস, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, সানদিয়েগো, সান-ফ্রান্সিসকো, সিয়াটল সিটি এবং ক্যালিফোর্নিয়া, কলরাডো, ইলিনয়, ম্যাসাচুসেটস, নিউমেক্সিকো, ওরেগণ এবং ভারমন্ট স্টেট-কে স্যাঙ্কচ্যুয়ারি স্টেট হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় এসব স্থানে অবৈধদের ধর-পাকড়ের কোন সুযোগ নেই। এমনকি, সিটিজেন বা গ্রীণকার্ডধারীদের মতো অবৈধরাও নানা সুবিধা পাচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভ এবং হাসপাতালে বিনা ফি-তে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন অবৈধরা। ট্রাম্পের এই নির্দেশে স্যাঙ্কচ্যুয়ারি সিটির সুবিধা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিস্তারিত হদিস উদঘাটনের তাগিদও রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বিশেষ নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী ট্যাক্স প্রদানকারিদের অর্থ অবৈধরা ভোগ করতে সক্ষম হবে না। আদেশটিকে সিটিজেনশিপ গ্রহণকারি (ন্যাচারালাইজড) ইমিগ্র্যান্টরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন। অভিবাসন-বিরোধী সংগঠন ‘দ্য ফেডারেশন ফর আমেরিকান ইমিগ্রেশন রিফর্ম’র তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের জন্যে ব্যয় হচ্ছে ৬৬.৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হলে স্বল্প আয়ের আমেরিকানদের সুযোগ-সুবিধা অটোম্যাটিকেলি বাড়বে বলে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন। এর আগে আরেকটি নির্বাহী আদেশে স্যাঙ্কচ্যুয়ারি সিটির ফেডারেল বাজেট কর্তনের হুমকি দেয়া হয়েছে যদি চলমান গ্রেফতার ও বহিষ্কার অভিযানে ঐসব সিটি সহযোগিতা না দেয়।
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহনের মাস পূর্তি উপলক্ষে ওয়াশিংটন পোস্ট-ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে ৫৭% আমেরিকান বলেছেন যে, ট্রাম্পক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। ৪৩% ট্রাম্পের কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়েছেন। আর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৪৮% আমেরিকান। ট্রাম্পের গৃহিত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ২৭%। অবৈধদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার-বহিষ্কার এবং প্রশাসন থেকে অপ্রয়োজনীয় জনবল বরখাস্তের পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। আর যারা অসন্তুষ্ট তাদের প্রায় সকলেই ইলোন মাস্কের কারণে। ইলোন মাস্ক বিদ্যমান প্রশাসনকে লন্ডভন্ড করছেন বলে তারা মনে করছেন।
Posted ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24