নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৬:০২ পূর্বাহ্ণ
অভিবাসন-বিরোধী অভিযানে টালমাটাল অবস্থায় নিপতিত পরিস্থিতি সত্বেও দালালকে মোটা অর্থ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমেরিকায় আগমণের প্রবণতা কমেনি বাংলাদেশীদেরও। মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ বাংলাদেশী, চায়নিজ এবং হাইতিয়ানকে ফ্লোরিডার বিসাইন সমুদ্র উপক’ল থেকে আটক করা হয়েছে বলে কাস্টমস অ্যান্ড বোর্ডার প্রটেকশন এজেন্টরা জানিয়েছেন। আদম পাচারের ছোট্ট নৌ-যানটি বাহামা হয়ে ফ্লোরিডায় নোঙরের সময়ই ধরা পড়েছে বলে মায়ামি হেরাল্ড পত্রিকা-কে জানায় সীমান্ত রক্ষাকারি বাহিনী। উল্লেখ্য, এর আগের মঙ্গলবারেও একই নৌ-রুট থেকে আরো ২৩ জনকে আটক করা হয়। অর্থাৎ বাহামা হয়ে গভীর সমুদ্র দিয়ে নৌকাগুলো ব্যবহৃত হচ্ছিল আদম পাচারের জন্যে। কাস্টমস অ্যান্ড বোর্ডার কর্মকর্তারা আরো উল্লেখ করেছেন যে, নৌকার যাত্রীরা বিভিন্ন পথ ধরে চীন থেকে নৌপথে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারিতেও আটক করা হয় আরো দুটি নৌ-যান, যারা আদম পাচার করছিল। সরকারী কর্মকর্তারা আরো জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কাস্টমস ডিপার্টমেন্টের টহলরত উড়োজাহাজের নজরে পড়েছিল ডিঙ্গি নৌকাটি। সেটি অনুসরণ করা হয় অপরাহ্ন ৩টা পর্যন্ত। এরপরই উপক’লে দাঁড়ানোর সময় আটক করা হয় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকারি অভিবাসীসহ পাচারকারি টিমের দুই সদস্যকে। তাদেরকে ফ্লোরিডা ফেডারেল কোর্টে সোপর্দ করার পর নিকটস্থ ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ডমিনিকান রিপাবলিকানের নাগরিক জুয়ান পাবলো ডুয়ার্ট চালাচ্ছিল নৌকাটি। সে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্টকে জানিয়েছে যে, মাথাপিছু ১৫০০ ডলার করে নিয়েছেন দুর্গম পথে বাহামা থেকে ফ্লোরিডার উপক’লে নামিয়ে দেয়ার শর্তে। অপর নৌকার মাঝির নাম কার্লিক্সো গুজম্যান, সেও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীণকার্ডধারী ডমিনিকান রিপাবলিকানের নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরেই তারা নৌ-পথে আদম পাচারের কাজ করছিল বলে এজেন্টকে জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশীরা নোয়াখালির সোনাইমুড়ির বাসিন্দা বলে কম্যুনিটি সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ৩/৪ বছরে দালালকে ২৫ লাখ টাকা থেকে ২৮ লাখ টাকা করে দিয়ে ২০ হাজারের অধিক বাংলাদেশী মেক্সিকো হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। এদের অধিকাংশই বৃহত্তর নোয়াখালীর সন্তান বলেও ইমিগ্রেশন এটর্নীরা জানান। সকলেই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এলডিপি অথবা বিএনপির কর্মী হিসেবে। সেগুলো পেন্ডিং রয়েছে। তবে তারা ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ায় ট্রাম্পের গ্রেফতার অভিযানের আওতায় নেই বলেও ইমিগ্রেশন এটর্নীরা জানান।
ফ্লোরিডা থেকে গ্রেফতারকৃতরাও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কতটা সাফল্য আনবে তা নিয়ে এটর্নীরাও শংকায় পড়েছেন। কারণ, ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী বেআইণীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে যারা ধরা পড়বে তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে মেক্সিকো-তে পাঠিয়ে দেয়ার কথা।
Posted ৬:০১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24