নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ
আমেরিকায় মুসলিম বিদ্বেষী হামলার ঘটনা আগের বছরের তুলনায় গত বছর ৭% বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স’ তথা কেয়ারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গতবছর ৮৬৫০টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকায় মুসলমানেরা টার্গেট হয়েছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে কেয়ার প্রতি বছরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। গতবছর ছিল সবচেয়ে বেশী ঘটনা। এমনকি, গত বছর গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনকারি শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলে পড়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। মোট বিদ্বেষী হামলার ৭১.৫% হচ্ছে পুলিশী নির্যাতন। এমনকি, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের বিরুদ্ধেও অভিবাসন দফতরে অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনাকারি মুসলমানের আবেদন যাতে নাকচ করা হয় সে ধরনের জঘন্য তৎপরতাও পরিলক্ষিত হয়েছে। কর্পোরেট আমেরিকাতেও মুসলিম বিদ্বেষী আচরণের নগ্ন বহি:প্রকাশ ঘটেছে। ১৩ শতাধিক মুসলমান অফিসারকে বরখাস্ত অথবা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কেয়ারের গবেষণা পরিচালক কোরে স্যালোর এ প্রসঙ্গে বলেন, ধর্মীয় কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সভ্যতার শীর্ষে অবস্থানের দাবিদার এই আমেরিকাতেও। গতবছর আমরা দেখেছি মানুষকে টার্গেট করা হয় তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্যে। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদকারিরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে ছিলেন গতবছর। এখনো সে অবস্থা চলছে।
গতবছর অক্টোবরে মাইক্রোসফট দু’জনকে বরখাস্ত করেছে। গাজায় হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে কেয়ারের ওয়াশিংটন অফিস জানায়। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ল্যাঙ্গোন হেল্্থ সেন্টারের একজন ফিলিস্তিনি আমেরিকান নার্সকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি গাজায় ফিলিস্তিনি নারীদের সাথে অসভ্য আচরনের প্রতিবাদ করেছিলেন।
কেয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬৪৭টি আক্রমণের ৪০% ঘটেছে মসজিদে।
Posted ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24