
অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরো জানান, এই নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ইতিমধ্যে ৬টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও প্রতিবেদন ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তারা এই সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এজন্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনৃু রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ‘এই কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, সবার মধ্যে যে বিষয়গুলোতে একমত হওয়া সম্ভব, সেগুলো চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করা। যে সব দল এতে একমত হবে, তাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে এবং এই তালিকা হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা ‘জুলাই সনদ’।’
প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, জাতির সামনে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা এবং প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচনের আয়োজন করা।’
এসময়, তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি। গুজব হলো, জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তির মস্ত বড় হাতিয়ার। গুজব দেখতে পেলে তা অবহেলা না করে তার সূত্র খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের সফরকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন।’
ড. ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের রিপোর্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতির বর্ণনা উঠে এসেছে। তিনি দাবি করেন, গত জুলাই-আগস্ট মাসে সরকার এবং আওয়ামী লীগ ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে, যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু ছিল।’
ড. ইউনূস এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবেদনে যে সুপারিশ করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল, তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবেই।’
Posted ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24