
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সম্বর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
নিউইয়র্ক অঞ্চলে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে লাল গোলাপ সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের মধ্যদিয়ে নিউইয়র্ক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশ হলো ২৫ মার্চ সন্ধ্যায়। এতে অংশগ্রহণকারিরা যে কোন মূল্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তঋণ পরিশোধের সংকল্প ব্যক্ত করেন। প্রবাসের বাঙালিদের সামগ্রিক উন্নয়ন-পরিক্রমায় পরস্পরের সহযোগি হয়ে একযোগে কাজের অঙ্গিকারও করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ড. নুরুন্নবী। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
জ্যাকসন হাইটসে সানাই পার্টি হলে সম্বর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ছিলেন ড. নুরুন্নবী, ড. জিনাতনবী, লাবলু আনসার, হেলাল মজিদ, আবুল বাশার চুন্নু, গুলজার হোসেন, আশরাফ আলী, আশরাফ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাদেক, মো. নাসিরুদ্দিন, প্রাণগোপাল কুন্ডু, জাহিদ হোসেন, আবুল বাশার ভ’ইয়া এবং হাবিব রহমান আকন্দ। এ পর্বে মুক্তিযোদ্ধাগণকে উত্তরীয় পরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেছে ফারহানা ফেরদৌস শিমলা, ছোট্টমণি সাহিল তালুকদার এবং হুমায়রা উল্লাহ।
স্বাধীনতা দিবসের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি কামাল হোসেন মিঠু।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন আব্দুল কাদের মিয়া। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিলেন ৯৯% প্রবাসী। কিন্তু দু:খের বিষয় বর্তমানে প্রবাসীদের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে অনেকের ভুল ভেঙেছে সময়ের পরিক্রমায়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সকলেই গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। গত ৭ মাসে ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে, আইনের শাসনের অবনতি, মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে, যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হচ্ছে তা দেখে প্রবাসীরা কীভাবে চুপ থাকতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সুধীর একাংশ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
ইউনূস সরকারের অপশাসনের কঠোর সমালোচনা করে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখক ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নুরুন্নবী আরো বলেন, আমরা এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি যেখানে মানবাধিকার আছে, আইনের শাসন বহাল আছে, সেখানে বাস করে আমরা কীভাবে একটি বেআইনী শাসককে, মানবাধিকার চরমভাবে লংঘনকারি একটি কথিত সরকারকে কীভাবে সমর্থন করছি। তাই সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হউন।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সুধীর একাংশ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
এতে আরো বক্তব্য দেন নারী মুক্তিযোদ্ধা ড. জিনাত নবী, সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ, শহীদ পরিবারের সন্তান ফাহিম রেজা নূর, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল, এবং স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্যে গঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফজলুল হক।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সুধীর একাংশ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, সাবিনা হাই উর্বি, নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, ফেরদৌস খান, সাজ্জাদ হোসেন, সাংবাদিক ফারজানা শোভা, নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রাফিক ইউনিয়নের নেতা মো. শামীম হোসেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাফরউল্লাহ, আবু তাহের রহমান মামুন, মাহফুজুর রহমান দুলাল, সাহাবউদ্দিন চৌধুরী দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক আলিম খান আকাশ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল, দফতর সম্পাদক প্রিন্স মুরাদ, কোষাধ্যক্ষ মো. নাঈমউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য সবিতা দাস, নাজিমউদ্দিন, এটিএম মাসুদ, উইলি নন্দি, মো. নুরুল আবসার, অজিৎ ভৌমিক প্রমুখ। ইফতারের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্মরণে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন পলাশ নন্দি।
শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর একাত্তরের ৩০ লাখ শহীদ স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। শেষে ইমাম সাইয়েদ মুশতানজিদ বিল্লাহ্্র নেতৃত্বে বিশেষ দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সুধীর একাংশ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
সমাপনী বক্তব্যে সমাবেশের সভাপতি কাদের মিয়া বলেন, বাংলাদেশকে অপশাসনের যাঁতাকল থেকে মুক্ত করতে আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো-এটাই হোক এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রকৃত সংকল্প। তিনি সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে অভিনন্দন জানান।
Posted ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24