
বিশেষ সংবাদদাতা
প্রিন্ট
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
অবৈধ অভিবাসীরা জীবিকার্জনের ন্যূনতম সুযোগ না পেয়ে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যেতে বাধ্য হোন-এমন একটি অভিনব প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন। নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোষ্টে হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে টাম্প প্রশাসনের অমানবিক একটি পদক্ষেপের তথ্য ফাঁস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর যে কোন প্রোগ্রামে (রিফ্যুজি, এসাইলি, দুর্গত-যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ, নির্যাতিত) আবেদনের পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর দেয়া হয়। তা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়, ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়, মেডিকেইড, মেডিকেয়ার, বেকার ভাতা, ফেডারেল ঋণ এবং করোনাকালিন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাও মিলেছে। আবেদনটি মঞ্জুর না হলেও নম্বরটি ঐ ব্যক্তির জন্যে বহাল থাকে বিধায় ফেডারেল, স্টেট এবং সিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ অভিবাসনের মর্যাদা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে দিনাতিপাতের তেমন সমস্যা হয় না। বলার অপেক্ষা রাখে না, সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বরওয়ালা অবৈধ অভিবাসীরাই প্রতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন দিয়ে আসছেন নিজের অবস্থানকে পোক্ত করার অভিপ্রায়ে। কিন্তু ট্রাম্প তার নির্বাচনী অঙ্গিকারের পরিপূরক (অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার প্রশ্নে) সাফল্য অর্জনে সক্ষম হচ্ছেন না ভেবে জীবিত অবৈধ অভিবাসীগণকে মৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় চলতি সপ্তাহে অন্তত: ৬ হাজার জনের নাম ঐ তালিকায় উঠানো হয়েছে। সামনের সপ্তাহের মধ্যে আরো ৯৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে মৃত তালিকায় নেয়া হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা গণমাধ্যম দুটিকে জানিয়েছেন। এসব অবৈধ অভিবাসীর প্রায় সকলেই ল্যাটিনো বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আরো উল্লেখ করেছেন, অবৈধরা যাতে নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধ্য হয় সেজন্যে এই প্রক্রিয়ার বিকল্প ছিল না।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র এলিজাবেথ হাস্টন বলেছেন, সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর বাতিলের প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট টাম্পের অভিবাসন-নীতি বাস্তবায়িত করতে অবদান রাখবে। অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর মধ্যদিয়ে সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার পাশাপাশি সিটিজেনদের সার্বিক কল্যাণে আরো অধিক মনোযোগ দেয়া সম্ভব হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, বাইডেন গত চার বছরে লাখ লাখ বিদেশীকে সীমান্ত অতিক্রমের সুযোগ দিয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার পরই সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর পেয়েছেন। এছাড়া কিউবা, নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা এবং হাইতির ৫ লক্ষাধিক মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। আরেকটি প্রোগ্রামে ৯ লাখ মানুষকে ‘সিবিপি ওয়ান’ প্রোগ্রামে টেলিফোনে আবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ দেয়া হয় সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশসমূহ থেকে। এভাবে বাইডেন-কমলার আমলে সর্বমোট এক কোটি বিদেশী যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে এবং ফেডারেল সরকারের বিপুল অর্থ ভোগ করছে। এর মধ্যে গুরুতর অপরাধী বা সন্ত্রাসীও রয়েছে-যারা যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তার জন্যে হুমকিস্বরূপ।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24