নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যগণ। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় প্রবাসীদের বৃহত্তম সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র কার্যকরি কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘ ট্রাস্টি বোর্ড’ (বিওটি) গঠন করা হয়। ১২ সদস্যের নবনির্বাচিত ‘বোর্ড অব ট্রাস্টি’র সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, কাজী আজহারুল হক মিলন, আজিমুর রহমান বোরহান, আতোয়ারুল আলম, আব্দুর রহিম হাওলাদার, শাহ নেওয়াজ, ডা. এনামুল হক, জুনাইদ চৌধুরী, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, আহসান হাবীব এবং নাঈম টুটুল। এর সাথে সংগঠনের সভাপতি পদাধিকার বলে যুক্ত হবেন অর্থাৎ বিওটি হবে ১৩ সদস্যের। জানা গেছে, সহসাই ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসে বোর্ডের চেযারম্যান নির্বাচিত করবেন। এক্ষেত্রে বরাবরের মত গত নির্বাচনেও বিজয়ী প্যানেলকে নেপথ্যে থেকে অর্থ-সহ অন্যান্যভাবে সর্বাত্মক সহায়তাকারি ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। সভায় অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি- মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি- কামরুজ্জামান কামরুল, সহ সাধারণ সম্পাদক- আবুল কালাম ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ- মফিজুল ইসলাম ভুইয়া (রুমি), সাংগঠনিক সম্পাদক- ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- অনিক রাজ, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক- রিজু মোহাম্মদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- জামিল আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক- মোহাম্মদ আখতার বাবুল, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- আশ্রাব আলী খান লিটন, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক- মোহাম্মদ হাসান (জিলানী), কার্যকরি সদস্য- হারুন অর রশিদ (চেয়ারম্যান), জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মোহাম্মদ সিদ্দিক পাটোয়ারী, আবুল কাশেম চৌধুরী, মুনসুর আহমদ ও হাছান খান।

বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠনের সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪।
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সোসাইটি ৫০ বছর পূর্ণ করলেও কম্যুনিটির প্রত্যাশার পরিপূরক ‘কম্যুনিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়নি এখোন পর্যন্ত। এমনকি ম্যানহাটানে ‘বাংলাদেশ ডে প্যারেড’র অনুমতি সংগ্রহ করতেও পারেনি। কুইন্সে অতি সম্প্রতি একটি প্যারেড হলো, সেটিও অনুমতি নিয়েছিলো ফাহাদ সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন আরেকটি সংস্থা। যদিও ১৯ হাজারের অধিক ভোটারের অংশগ্রহণে সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী প্যানেলের অন্যতম অঙ্গিকার হচ্ছে ‘কম্যুনিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার। এর আগেও সাড়ে ২৭ হাজার ভোটারের আরেকটি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িন্দ্বতাকারিরাও একই অঙ্গিকার করেছিলেন। সে কমিটি অবশ্য কম্যুনিটির বিশেষ একটি মহলের টোপে পা দিয়ে কবর ক্রয়ের জন্যে মোটা অংকের অর্থ পরিশোধ করেছে। সেই অর্থ এখোন ফেরৎ নেয়ার জন্যে দেন-দরবার হচ্ছে বলে সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে। এই অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হলে তা ডাউন পেমেন্টে কম্যুনিটি সেন্টার’র প্রত্যাশা পূরণের পথ সুগম হতে পারবে বলে সোসাইটির অনেকে মনে করছেন।
Posted ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24