
এনওয়াইভয়েস২৪ ডটকম
প্রিন্ট
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ
নিহত সানি দেওয়ান
টহল পুলিশের আহবানে সাড়া না দিয়ে বল্গাহীন গতিতে চুরি করা গাড়ি চালিয়ে পালানোর সময় ২ মে শুক্রবার সকালে নিউইয়র্ক স্টেটের ওয়েস্ট বাফেলো স্ট্রিটে আরেকটি গাড়ির সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে সানি দেওয়ান (১৯) নামক বাংলাদেশী তরুণসহ দু’জন অকুস্থলেই নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বাফেলোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওয়ারশ সিটির পুলিশ জানান, বাংলাদেশী অধ্যুষিত বাফেলো সংলগ্ন ওয়াইওমিং কাউন্টির ওরেঞ্জভিলে সীমান্ত বরাবর স্টেট রুট ২০-এর একটি খালে সানি দেওয়ানের গাড়িটি পড়ে যাবার আগে দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়িতে আগুণ ধরে। সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছালে পথচারিদের সহায়তায় প্রজ্জ্বলিত গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করে সানি মেওয়ানকে ওয়াইওমিং কাউন্টি কম্যুনিটি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সানির গাড়ির ধাক্কায় ক্ষত-বিক্ষত অপর গাড়ির প্যাসেঞ্জার ল্যানকাস্টারের বাাসিন্দা ডেনিয়েল অ্যাবোট (৪৮) অকুস্থলেই ইন্তেকাল করেছেন বলেও পুলিশ জানায়। ঐ গাড়ির চালক ইস্ট অরোরার বাসিন্দা জেমস স্ট্যাবেলওয়াস্কি(৪৮) অ্যারি কাউন্টি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে। সানি দেওয়ানের চালানো গাড়িটি (বিএমডব্লিউ) নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইল্যান্ডের নাসাউ কাউন্টি থেকে চুরি হয়েছিল। শুক্রবার সকাল সোয়া ৮ টায় গাড়িটি দেখার পরই পুলিশ অনুসরণ করে এবং এক পর্যায়ে তা রাস্তার পাশে থামানোর আহবান জানিয়েছিল টহল পুলিশের দল। কিন্তু সেই আহবানে সাড়া না দিয়ে আরো দ্রুত গতিতে পলায়নের চেষ্টা করায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সাথে সজোড়ে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন সানি দেওয়ান।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে বসবাসরত বাংলাদেশী ফারুক আহমেদের একমাত্র পুত্র সানি দেওয়ান বাফেলো ইউনিভার্সিটিতে কম্প্যুটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঐ ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন হ্যাজেলউডে বাস করতেন। মা-বাবার সাথে কটা দিন কাটানোর পর সেখানে ফেরার পথেই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সানি।
সানির নামাজে জানাযা ৪ মে রোববার বাদ আসর বাফেলোর ফিল্মমোর এভিনিউস্থ মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকালে দ্বিতীয় জানাযার পর স্থানীয় একটি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। সানি দেওয়ান চুরি করা গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে পুলিশ যে বক্তব্য দিচ্ছে তা মানতে নারাজ তার অভিভাবক-সহ স্বজনেরা। ৭ মে ওয়ারশ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে এ সংবাদদাতাকে জানানো হয় যে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছুই জানানো সম্ভব নয়। আর এ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্টেটের এটর্নী জেনারেল লেটিশা জেমস।
Posted ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24