নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ
‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেল্্থ’র ৬ পরিচালকসহ সংক্রমণ ব্যাধি, শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা, নার্সিং গবেষণা এবং মানবদেহের জীন নিয়ে গবেষণারত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপে অতীষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন অথবা বরখাস্ত করা হয়েছে। চীফ এয়ার ট্রাফিক অফিসারসহ ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটির ডজনখানেক পদস্থ কর্মকর্তা আগাম অবসরে যাচ্ছেন। সরকারের অর্থনীতি-ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনরত দুই শতাধিক কর্মকর্তা ট্রাম্পের আহবানে চলতি বছরই আগাম অবসরে যাচ্ছেন। ফেডারেল প্রশাসনে লোক ছাটাইয়ের এমন পদক্ষেপে অতীষ্ঠ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তাগণের চাকরি ছাড়ার এহেন অবস্থাকে নিকট ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর একটি সংকটে পতিত হবার আভাস দিয়েছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। রোববার ‘ট্রাম্প’স অ্যাকশন্স আর পুশিং থাউজান্ডস অব এক্সপার্টস টু ফ্লি গভর্ণমেন্ট’ (Trump’s actions are pushing thousands of experts to flee government) শিরোনামে প্রকাশিত এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, একধরনের ভীতি তৈরী করা হয়েছে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদেনরকে চাকরি ছাড়ার ক্ষেত্রে। আর যারা খুব বেশী ভদ্র ও নীরিহ, তারা স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন অথবা দরখাস্ত সাবমিট করেছেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতা প্রদানের অঙ্গিকারের পর গত জানুয়ারিতে বিভিন্ন দফতরের ৭৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। বেশ কটি দফতরকে বিলুপ্ত ঘোষণা করায় সে সব কর্মকর্তা-কর্মচারির ভাগ্য কী হবে তা ট্রাম্প প্রশাসন ভেবে দেখেননি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ মাসে দু’লাখের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি আকস্মিক বেকার হয়ে পড়ায় তাদের সন্তান-সন্ততিরাও নিদারুন পরিস্থিতির ভিকটিম হয়েছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারির অনেকেই কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণের বিপরীতে বাড়ি ক্রয় করেছিলেন, সে সব বাড়ির কিস্তি পরিশোধে সক্ষম না হলে তা নিলামে উঠবে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের অথনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় আরো জটিলতা আসবে। উল্লেখ্য, চীন-মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আবাসন খাতে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বাড়ি নির্মাণ, পুননির্মাণ অথবা সংস্কারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। শাক-সব্জি, ফল-মূলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রির দামও ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। এমনি অবস্থায় চাকরি হারানো মানুষের পরিবার-পরিজনকে কী ধরনের দুর্দশায় নিপতিত হতে হচ্ছে তা কী কখনো ট্রাম্প এবং ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট অ্যাফিসিয়েন্সির উপদেষ্টা ধনকুবের ইলোন মাস্ক ভেবে দেখেছেন-এমন প্রশ্নের কোন জবাব কখনোই আসেনি হোয়াইট হাউজ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে ইলোন মাস্কের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে লাগাতার হামলা, ভাঙচুর আর অগ্নি সংযোগের মধ্যদিয়ে জনমনে সৃষ্ঠ ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে বলে অনেকের ধারণা।
Posted ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24