(এনওয়াইভয়েস২৪ ডটকম)
প্রিন্ট
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
আসুন জেনে নেই, আমাদের কোন উপদেষ্টা কোন দেশের নাগরিক…(১) প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস -আমেরিকা ও ফ্রান্সের নাগরিক। (২) পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান-ব্রিটিশ নাগরিক। (৩) প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী -সুইজারল্যান্ড নাগরিক। (৪) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান-আমেরিকার নাগরিক। (৫) ডাঃ আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা অর্থ মন্ত্রনালয়)- অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। (৬) সুফিউর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়)- সুইজারল্যান্ডের নাগরিক। (৭) শেখ মইনুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়)-আমেরিকার নাগরিক। (৮) ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রনালয়)-নেদারল্যান্ডের নাগিরক। (৯) আশিক চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা, বিডা- বৃটিশের নাগরিক। (১০) ড. আলী রিয়াজ, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান। ঐক্যমত কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান- আমেরিকার নাগরিক। (১১) ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান-আমেরিকার নাগরিক। (১২) কামাল আহমেদ, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান-ব্রিটিশ নাগরিক। (১৩) ডাঃ মোস্তাক হোসেন খান, দুদক সংস্কার কমিশনের মেম্বার-ব্রিটিশ নাগরিক। (১৪) লামিয়া মোরশেদ, সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা, ইউনুসের সহযোগী- স্ব-পরিবারে কানাডার নাগরিক। (১৫) মনির হায়দার, প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যমত বিষয়ক বিশেষ সহকারী সিনিয়র সচিব-আমেরিকার নাগরিক। (১৬) এম মুশফিকুল ফজল আনসারী, সিনিয়র সচিব মর্যাদা মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত-আমেরিকার নাগরিক। (১৭) সজীব এম খায়রুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত যুগ্ম সচিব-আমেরিকার নাগরিক।
অথচ বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যুরাষ্ট্রের নাগরিকরা অন্য দেশের নীতি-নির্ধারণীতে অংশ নিতে পারেন না। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ৩৪৯(এ)(৪) সেকশন অনুযায়ী ভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারর্ণে অংশ নিলে সেই মার্কিন নাগরিকের সিটিজেনশি বাতিল হয়ে যাবে। অনেক আগেই প্রণীত এ আইনের সর্বশেষ ব্যাখ্যা দান করা হয় গত বছরের ১২ মার্চে। সে অনুযায়ী যুরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরিহার না করেই কেউ যদি অন্য দেশের পূর্ণ কোন দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন এবং এ তথ্য নিকটস্থ কনস্যুলেট জানতে পারে তাহলে ওই আমেরিকানের নাগরিকত্ব বাতিলের সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, মন্ত্রিপরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সংবিধানসহ আইন সংস্কারের নানা কমিটিতে মার্কিন নাগরিকরা অংশ নিচ্ছেন। এদের অনেকেই রীতি অনুযায়ী স্বেচ্ছায় সিটিজেনশিপ পরিত্যাগ করেননি। অর্থাৎ সেই তথ্য গোপন করেছেন।
সর্বশেষ এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ওই ধরনের আচরণে লিপ্তরা এখন থেকে আর ছাড় পাবেন না। এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন-বিষয়ক খ্যাতনামা অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইন লঙ্ঘনের ব্যাপার গুরোতর অপরাধের শামিল নয়। এজন্য সিটিজেনশিপের তথ্য গোপন করে অন্য দেশের নীতিনির্ধা রর্ধা ণীতে অং শ নিলে কেবল সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। অন্য কিছু নয়। তবে নীতি-নৈতিকতার ব্যাপারটি সামনে আসবে অবশ্যই। নৈতিক স্খলনজনিত আচরণের পর্যায়ে পড়বে। কারণ আপনি একই সঙ্গে দুটি দেশের প্রতি অনুগত থাকতে পারেন না। বিশেষ করে যদি রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণীতে থাকেন। সেনাবাহিনীর পদস্থ অফিসার, সচিব, এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টা, প্রেসিডেন্ট ইত্যাদি পদগুলো এখানে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।’ অ্যাটর্নি অশোক উল্লেখ করেন, ‘তবে যারা সাধারণ নাগরিক, অন্য দেশের নীতি-নির্ধারর্ণীতে নেই, তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারেন এবং অনেকে নিচ্ছেন, এটা কোনো অন্যায়ের নয়। নৈতিকভাবেও নেই।
বাংলাদেশের আইন এ ব্যাপারে কী বলে- জানতে চাইলে অ্যাটর্নি অশোক বলেন, ‘যদি শপথ গ্রহণের ব্যাপারটি থাকে অর্থাৎ দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের শপথ নিতে হয়। আর এটি করার পর ধরেই নেওয়া হয় যে, আপনার আনুগত্য কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রতিই, অন্য কোনো দেশের প্রতি নয়। এতদ্সত্ত্বেও যারা অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের তথ্য গোপন করেন বা মিথ্যা বলেন-সেটিকে শপথ ভঙ্গের শামিল বলে গণ্য করা হয়। কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব নিতে একইসঙ্গে দুটি দেশের স্বার্থ সুরক্ষা সম্ভব হয় না। এজন্য পার্লামেন্টের মেম্বার পদে মনোনয়নের ফরম পূরণের সময় অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই বলে ঘোষণা দিতে হয়।’
আর এজন্যেই ইউনূস নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে আটলান্টিকের এপাড়েও। অবশ্য অনেকে আপ্লুত হতেন যদি ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিদেশী নাগরিকেরাও পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন-এমন অধ্যায়ের সংযোজন ঘটানো হতো। সেটি তিনি করেননি কারণ, ইউনূসের মতো তিনিও এ যুগের জ্ঞানপাপী-যারা নিজের অস্তিত্বের সাথে বেঈমানী করতেও দ্বীধা করেন না-অভিযোগ বিদগ্ধজনের।
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24