রাজশাহীতে আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক   প্রিন্ট
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫   সর্বশেষ আপডেট : ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

রাজশাহীতে আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফিরে নির্যাতনের শিকার অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার প্রায় চার মাস পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান।

পেশায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলিউজ্জামান উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী–৫ (পুঠিয়া–দুর্গাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের চাচা।

অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ সুজা প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটার দিকে তাঁর চাচার মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ৪ জানুয়ারি তাঁর চাচাকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতনের পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাঁকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি বলেন, এই নির্যাতনের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে কোনো সুযোগ হলে আদালতে মামলা করা হবে তিনি জানান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অলিউজ্জামানের বাড়ি উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ২ জানুয়ারি রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। ৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তিনি পাশের মাইপাড়া বাজারে চা পান করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর সড়কে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে সে সময় লোকমুখে শোনার কথা জানিয়েছিলেন অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবু হানিফ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিঠুন দাবি করেছিলেন, আহসান ও সীমান্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন তখন বলেছিলেন, তাঁরা মৌখিকভাবে শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। অলিউজ্জামানকে প্রথমে পুঠিয়া হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তিনি মৃত্যুর খবর শোনেননি। এ ঘটনায় তাঁর কাছে আগেও কেউ মামলা করতে আসেননি।

Facebook Comments Box

Posted ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

nyvoice24 |

Address
New York
Phone: 929-799-2884
Email: nyvoice24@gmail.com
Follow Us