অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
ফাইল ছবি
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল) রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতির মুখে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই সময়ের মধ্যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। যদিও এই ঘাটতি রয়েছে, তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এনবিআরের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বলছে, ভ্যাট, কাস্টমস এবং ইনকাম ট্যাক্স—তিনটি মূল খাতেই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায় পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। মূসক খাতে কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও সেটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যথেষ্ট নয়।
শুধু এপ্রিল মাসেই রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৩৬ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার মতো। এতে এক মাসেই ঘাটতি হয়েছে ৫ হাজার ৮১১ কোটি টাকার কাছাকাছি। যদিও গত বছরের একই মাসের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, কিন্তু তা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে গত ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া কর্মকর্তাদের আন্দোলন। এনবিআর বিলুপ্ত করে জারি করা নতুন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআরের বিভিন্ন কর অঞ্চল, ভ্যাট অফিস ও কাস্টমস হাউসে চলছে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। এই আন্দোলনের ফলে রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে আগামী ২ জুন জাতীয় বাজেট ঘোষণার কথা রয়েছে। বাজেট ঘোষণার আগ মুহূর্তে রাজস্ব খাতে এমন স্থবিরতা এবং লক্ষ্যমাত্রা থেকে বড় ঘাটতি অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মে মাস শেষেও রাজস্ব ঘাটতি আরও বাড়তে পারে, যা চলতি অর্থবছরের সার্বিক বাজেট বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সৌজন্যে: বিজনেসআই২৪
Posted ৯:২২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24