নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে কোন দেশে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। ইউএস সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এমন একটি রুলিং দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অনেক দেশই তাদের নাগরিককে ফেরৎ নিতে আপত্তি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিকল্প ব্যবস্থার আদেশ দিলে আদালতে আইনী লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলো মানবাধিকার সংস্থাগুলো। দীর্ঘ শুনানীর পর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষেই এলো আদেশটি। এর আগে লসএঞ্জেলেস তথা ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট গভর্ণরের সাথে পরামর্শ ছাড়াই অভিবাসন-বিরোধী আন্দোলন দমাতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনে ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি নির্দেশের বৈধতা দিয়েছেন ফেডারেল কোর্ট। এ দুটি রুলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন-বিরোধী অভিযান আরো বেগবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত ‘ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া’কে ফেডারেল মঞ্জুরি প্রদানে ট্রাম্প প্রশাসনের অনীহাকে বেআইনী ঘোষণা করে সোমবার একটি রুলিং দিয়েছেন। এরফলে ৩২৪ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল মঞ্জুরি পেতে এই ভার্সিটির আর কোন সমস্যা থাকলো না। উল্লেখ্য, এই ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন ক্যাম্পাসে গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন এহেন আদেশ জারি করেছিলেন। একইভাবে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ডে বিদেশী ছাত্র নিষিদ্ধের একটি আদেশের বিরুদ্ধে পুনরায় বস্টনের ফেডারেল আদালত রুলিং দিয়েছেন। বিচারপতি অ্যালিসন ডি বারোগস তার রুলিংয়ে উল্লেখ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ঐ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা রাখেন শুধুমাত্র শত্রু হিসেবে চিহ্নিত দেশসমূহের ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্যে তা প্রযোজ্য হতে পারে না।
এদিকে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এ্যানফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা ৬৬৪৬৩ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার এবং ৬৫৬৮২ জনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করেছে। এর বাইরে বেআইনীভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরো ৩২ হাজার বিদেশীকে গ্রেফতারের পর বহিষ্কারের প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় বলে ফেডারেল প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে। বাসা-বাড়ি-রেস্টুরেন্ট-আদালত প্রাঙ্গন কিংবা চলতি পথে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারের পর বহিষ্কৃতদের ৮০% ই গুরুতর অপরাধী ছিলো বলে প্রশাসনের দাবি। যদিও অভিবাসনদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বরাবরই অভিযোগ করেছেন যে, নির্বিচারে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। যারা শুধুমাত্র অভিবাসনের আইন ভঙ্গ করা ছাড়া অন্য কোন অপরাধে লিপ্ত ছিলেন না তারাও বহিষ্কারের স্বীকার হয়েছেন। এমনকি অনেক মানুষ পূর্ব নির্দ্ধারিত সময়ে ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েও আইসের হাতে বন্দি হয়েছেন। এরফলে সমগ্র কম্যুনিটিতে সন্ত্রস্ত্র অবস্থা তৈরী হয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা কিংবা স্ট্যাটাস এডজাস্টমেন্টের জন্যেও এখোন অনেকে ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরার তারিখ পিছিয়ে নিচ্ছেন বলে এটর্নীরা জানান। অপরদিকে, আইসের ডেপুটি ডাইরেক্টর ম্যাডিসন ডি শিহান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নয়েমের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন যে, তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা পুনপ্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভ’মিকা পালনে সক্ষম হচ্ছি। চলমান এই অভিযানে সর্বসাধারনের সহায়তা চেয়ে আইসের ফোন নম্বর বিতরণ করা হয়েছে। সে নম্বরে (৮৬৬-৩৪৭-২৪২৩) ফোন করে সামাজিক দুশমন হিসেবে চিহ্নিত অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তথ্যদাতাগনের নাম-পরিচয় গোপন রাখার অঙ্গিকারও রয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
Posted ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24