যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবিলায় অর্থনীতিবিদ ও শিল্পপতিদের পরমর্শ

অনলাইন ডেস্ক   প্রিন্ট
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫   সর্বশেষ আপডেট : ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবিলায় অর্থনীতিবিদ ও শিল্পপতিদের পরমর্শ

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যে ১৫% থেকে ৩৫% শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতিবিদ ও শিল্পনেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্ক মোকাবিলায় তারা সরকারকে জরুরি কূটনৈতিক আলোচনা, লবিস্ট নিয়োগ এবং শিল্পখাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধান উদ্বেগের বিষয়
তৈরি পোশাক শিল্পে ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হুমকিতে

প্রতিযোগী দেশ ভারত (২৬%) ও ভিয়েতনামের (২০%) তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক হার বেশি

রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্য ও উৎপাদন খাতের সংস্কারের তাগিদ

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সতর্ক করে বলেন, “একটি বড় অংশের গার্মেন্ট কারখানা শুধু মার্কিন বাজারনির্ভর। শুল্ক বৃদ্ধি তাদের জন্য অস্তিত্বসংকট ডেকে আনবে।” তিনি সরকারকে দ্রুত নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বলেছেন।

বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী আলোচনা কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ ও ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত ছিল। ভারত-ভিয়েতনাম ইতিমধ্যেই তা করেছে।”

অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ
সিপিডির ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শুল্ক কমানোয় বাংলাদেশের সাফল্য সীমিত। ভিয়েতনামের সমতুল্য শুল্কহার (২০%) অর্জনই এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত।” তিনি শর্তগুলো প্রকাশ্যে আনারও পরামর্শ দেন।

র্যাপিডের ড. এমএ রাজ্জাক অভিমত দেন, “দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সীমিত। শুল্ক স্থগিতের ৩ মাসে প্রস্তুতি পর্যাপ্ত ছিল না।”

সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিতে আলোচনার দরজা খোলা রাখার ইঙ্গিত মিলেছে। অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন:

জরুরি ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল প্রেরণ

ইউরোপ ও অন্যান্য বিকল্প বাজার অনুসন্ধান

শিল্পখাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ

Facebook Comments Box

Posted ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

nyvoice24 |

Address
New York
Phone: 929-799-2884
Email: nyvoice24@gmail.com
Follow Us