নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ফাইল ছবি
বাংলাদেশকেও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার নীল নক্সার অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাই-আগস্টে কথিত আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার সরকার উৎখাতের পর একাত্তরের চেহারায় ফিরেছে জামাত-শিবির এবং তাদের দোসর বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীরা। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের সকলকে সংযমি হবার আহবান সত্বেও লোভ সংবরণ করছে না বিএনপির লোকজন। সারা বাংলাদেশে বিএনপি-যুবদলের কথিত নেতা-কর্মীদের জবর-দখল আর চাঁদাবাজির মহড়া চলছে। এজন্যে তারা স্বৈরাচারের দোসরের তকমা লাগিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক অসহায় মানুষকে হত্যা করেছে অথবা গুরুতরভাবে আহত করেছে। চাঁদার অর্থ না পেয়ে অনেকের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজের পর আগুন দিয়েছে। এ ধরনের হিংস্রতার পুরো ফায়দা পাবে জামাতিরা-এমন মন্তব্যও করা হচ্ছে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার আগেই যারা লুট-সন্ত্রাস আর দখল-চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, তারা পরবর্তীতে প্রশাসনিক ক্ষমতা পেলে বাংলাদেশকেই পাকিস্তানীদের হাতে সমর্পণে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না বলে প্রবাসের অনেকে মন্তব্য করছেন। উল্লেখ্য, চাঁদাবাজির প্রথম টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর সমর্থকরা। এখোন তা বিস্তৃত হয়েছে সহজ-সরল ব্যবসায়ী আর পেশাজীবীরা-যাদের কেউই আওয়ামী লীগের দোসর নন। বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের এহেন মাস্তানী আর চাঁদাবাজির পাশাপাশি জামাত-শিবির নিজেদের লোকজনকে প্রশাসনে-ব্যাংক-বিমায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ইসলামিক ব্যাংক-সহ বেশ কটি ব্যাংকের মূলধন তারা ইতিমধ্যেই কব্জায় নিয়েছে। অশান্তির জনক এবং লোভী মুহম্মদ ইউনূসের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জামাতিরা সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আওয়ামী দোসর’র তকমা লাগিয়ে জেলে ঢুকাচ্ছে অথবা হত্যা করছে। প্রবাসীরা অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করছেন ইউনূস বাহিনীর নির্লিপ্ততা। বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও সেনাবাহিনীর ভ’মিকায় বিতশ্রদ্ধ সাধারণ প্রবাসীরা। অর্থাৎ বিএনপি-জামাত-শিবিরের জঘন্য অপকর্মে তাদেরও সাপোর্ট রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। আর এভাবেই বাংলাদেশটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করে তাদের একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণের প্রবণতা দৃশ্যমান হচ্ছে।
এদিকে, সর্বশেষ পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার না করা ও এজাহার থেকে বাদ দেওয়া ‘রহস্যজনক’ বলেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, কোনো মাস্তান, খুনি, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীর স্থান বিএনপিতে হবে না । রাজধানীর মিটফোর্ডে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুরান ঢাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে, এসব বিএনপি পছন্দ করে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। খুনিদের প্রশ্রয় বিএনপিতে হবে না, হবে না, হবে না। বিএনপি একটা মহাসাগর। ৫ অগাস্টের পর সবাই বিএনপি হয়ে গেছে। কিন্তু অন্যায়কারীর প্রশ্রয় নাই। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের গাছের লতা-পাতারাও আওয়ামী লীগ আর জয় বাংলা স্লোগানে মাতোয়ারা হয়েছিল। বিএনপির নাম-নিশানা ছিল না। ঠিক একই অবস্থা এখোন-সকলেই বিএনপি। আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা নেই।
Posted ৯:২১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24