দক্ষ শ্রমিকের ভিসা পলিসিকে যুগোপযোগী এবং সিটিজেনশিপ গ্রহণের প্রক্রিয়া কঠিন করার পরিকল্পনার কথা জানালেন ইউএসসিআইএস (ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস)’র নয়া পরিচালক যোসেফ এডলো। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসকে যোসেফ এডলো জানিয়েছেন, এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আগত দক্ষ শ্রমিকেরা যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য-প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা-সেক্টর ও কলেজ-ভার্সিটিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমেরিকানদের চেয়ে কম বেতন পাচ্ছেন। এজন্যে ঐসব শিল্প-কারখানা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতাসম্পন্ন আমেরিকানরা চাকরি পাচ্ছেন না। এমন অবস্থা চলতে দেয়া হবে না। অপরদিকে, ১০০টি প্রশ্ন থেকে ইন্টারভিউর সময় ১০টি জিজ্ঞাসা করা হয় এবং এরমধ্যে ৬টির জবাব সঠিক হলেই সিটিজেনশিপ পরীক্ষায় পাশ। ২০১৬ সালে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ব্যবস্থায় প্রশ্নের সংখ্যা ১২৮টি করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করা হতো ২০টি। এরমধ্যে ১২টির জবাট সঠিক হলেই সিটিজেনশিপ পেতেন অভিবাসীরা। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২১ সালের মার্চে ট্রাম্পের ঐ ব্যবস্থাকে আবারো পরিবর্তন করে আগের অবস্থা বহাল করেছেন।

প্রতি বছর কোম্পানীগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ৮৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা ইস্যু করা হয় লটারির মাধ্যমে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশীরা পেয়ে আসছেন এই ভিসা। এরমধ্যে অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্সিটিতে উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা থাকেন। এই ভিসার মাধ্যমে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাচ্ছেন। যোসেফ এডলো বলেছেন, গত ৬ মাসে অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার ও বহিষ্কারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এখোন সেই অভিযানের সাথে যুক্ত হবে সিটিজেনশিপ এবং এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়াও। বিদেশী কর্মীরাও যাতে কোম্পানীসমূহে উচ্চ বেতন পেতে পারেন-সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে ঠকানো চলবে না।

উল্লেখ্য, ভিসা ইস্যু এবং সিটিজেনশিপের পরীক্ষা-ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হলে অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার সাধন করা জরুরী। আর এজন্যেই কংগ্রেসের সহায়তা নেবে ট্রাম্প প্রশাসন-এমন অভিমতও পোষণ করেছেন যোসেফ এডলো। তিনি বলেছেন, অধিকতর দক্ষরা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন সেদিকে খেয়াল রেখেই অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরো কল্যাণমুখী করা দরকার। ট্রাম্প প্রশাসন সেদিকে মনোযোগ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ইউএসসিআইএস’র এই পরিচালক।