নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
অনাহার এবং ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় মৃত্যু কমানোর অভিপ্রায়ে কানাডার উচিত হবে অবিলম্বে বিশেষ একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যার মাধ্যমে অভিবাসন-প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা সম্ভব। তা না হলে পাররিবারিক কোটায় ঝুলে থাকা ভিসার আবেদনগুলো এক পর্যায়ে ‘মৃত্যুজনিত কারণে’ চিরতরে বাতিল করতে হবে।
২১ জুন পর্যন্ত গাজাবাসীর জন্যে এ বছরের কোটায় ১২০০ ভিসা ইস্যু করেছে কানাডা। ভিসা পাবার পর মাত্র ৮৪১ জনের পক্ষে কানাডায় আসা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগের মুখপাত্র জেফরী ম্যাকডোনাল্ড। কারণ, গাজা থেকে মিশর কিংবা পার্শ্ববর্তী কোন দেশে যাবার সহজ কোন উপায় নেই। এ অবস্থায় গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষাবস্থা থেকে পরিত্রাণে কানাডায় থাকা ফিলিস্তিনিদের স্বজনকে বিশেষ ব্যবস্থায় গাজা থেকে উদ্ধার এবং কানাডায় আনার দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য, পারিবারিক কোটায় ফিলিস্তিনি কানাডিয়ানরা স্বজনের জন্যে আবেদন করছেন। কিন্তু বায়ো-ম্যাট্রিক প্রক্রিয়া অবলম্বনের কোন ব্যবস্থা অটুট নেই গাজায়। ইসরায়েলি হামলায় সবকিছু ধুলিসাত হয়ে পড়েছে।
গাজাবাসীর ভিসার জন্যে কানাডায় কর্মরত এটর্নী দেবী রাচলীজ ২৭ জুলাই বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি ভয়ংকর। বাসস্থান নেই। পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগও ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে গাজায় খাদ্য-সামগ্রি পরিবহনের সুযোগও বন্ধ করা হয়েছে। ফলে মানবেতর পরিস্থিতির ভিকটিম হতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। মানবতা ডুকরে কাঁদছে। এহেন অবস্থায় অভিবাসন ভিসায় কানাডায় আসতে পারবেন এমন ফিলিস্তিনিদের জন্যে বিশেষ একটি প্রক্রিয়া অবলম্বনের বিকল্প নেই। অর্থাৎ আবেদন পেন্ডিং রয়েছে এমন ইস্যুকে বিশেষ বিবেচনায় ত্বরান্বিত করা জরুরী মানবিকতার স্বার্থে। জানা গেছে, গাজায় আটকে পড়া ফিলিস্তিনির অনেকের ভিসার জন্যে কানাডায় বসবাসরত স্বজনেরা আবেদন করেছেন অনেক আগে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকেই ইসরায়েলি হামলায় গাজার জন-জীবন থমকে গেছে। এ বছরের ২৬ মার্চ থেকে গাজায় কোন অফিস-আদালতের অস্তিত্ব নেই। ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করায় অভিবাসন-ভিসার প্রক্রিয়াও থমকে গেছে। এহেন অবস্থায় ‘মানবিক বিবেচনা’য় কানাডা সরকারকে ঐসব ফিলিস্তিনির জন্যে বিশেষ একটি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে। বলা হচ্ছে যুদ্ধ-বিরতির যে সীমিত ব্যবস্থা পুনরায় চালু হয়েছে সেটিকে কাজে লাগিয়েই গাজা থেকে দ্রুত ফিলিস্তিনিদের উদ্ধার করে সরাসরি কানাডা সীমান্তে এনে পেন্ডিং ভিসা-পিটিশনসমূহ প্রসেসিংয়ের কাজগুলো সমাপ্তি করা দরকার। কানাডা ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে, ভিসার আবেদনের সমর্থনে যাবতীয় ডক্যুমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ, বায়ো-ম্যাট্্িরক সম্পন্ন করা একেবারেই অসম্ভব। পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে সে সব করার মত পরিস্থিতিও নেই। ২০২৪ সালের মে থেকে গাজা এবং মিশরের মধ্যেকার রাফা সীমান্তও বন্ধ করা হয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে। তাই কানাডা সরকারকে বিশেষ একটি জরুরী-ব্যবস্থা অবলম্বনের আহবান জানাচ্ছে মানবাধিকার নিয়ে কর্মরত আইনজীবীগণের পক্ষে এটর্নী রাচলীজও।
উল্লেখ্য, প্রাণবন্ত এ মিলনমেলা শুরু হয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন, গীতা এবং বাইবেল থেকে পাঠের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে। এ সময় জঙ্গিবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের আত্মার শান্তি এবং অগ্নিদগ্ধদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Posted ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24