নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে যুবক-যুবতীদের মধ্যে নেশার প্রবণতা কমেছে। বুধবার প্রকাশিত এক জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়েসীদের মধ্যে নেশা করছেন ৫৬%। গত বছর এ হার ছিল ৭০%। অপরদিকে, ৫৫ বছরের অধিক বয়েসী আমেরিকানের ৫০% নেশা করলেও ২০২৩ সালে সে হার ছিল ৫৯%। গ্যালোপ সারা আমেরিকার এক হাজার জন প্রাপ্ত বয়স্কের ওপর এ জরিপ চালায় গত মাসে।
জরিপ রিপোর্টের ব্যাপারে মতামত ব্যক্তকালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (এপিডেমিওলজি) ক্যাথারিন কেইজ বলেন, এ ধরনের জরিপ কখনোই পুরোপুরি সঠিক বলে মনে না হলেও স্বেচ্ছায় যারা নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তারা অধিকাংশ সময়েই সত্য কথাই বলে আসছেন। অপরদিকে, জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্্থ’র অধ্যাপক জোহান্নেস থ্রুল বলেন, আশা জাগানিয়া ঘটনা ঘটেছে যে, সকলের মধ্যেই নেশার প্রবণতা কমছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই গ্যালোপ এ ধরনের জরিপ পরিচালনা করে আসছে সে সময়ে ৬০% বলেছিলেন যে তারা নেশা করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জরিপে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়েসীদের ৫৯% বলেছিলেন যে তারা নেশা করেন। গতবছর এবং এবারের জরিপে তা কমে ৫০% হয়েছে। অর্থাৎ উঠতি বয়েসীদের মধ্যে নেশার প্রবণতা কমছে। আর এবারই প্রথম উদঘাটিত হলো যে, দৈনিক এক অথবা দু’বার দুই ডোজের নেশা করলেও স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জরিপে অংশগ্রহণকারিরা অনুধাবন করছেন। আর এভাবে গত প্রায় ৩ দশকে যুব সমাজের মধ্যে নেশার প্রবণতা হ্রাস পাবার তথ্য উদঘাটিত হলো। এটা অবশ্যই ইতিবাচক একটি ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ফেডারেল রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বরাবরই নেশাজনিত কারণে যুব সমাজ জটিল রোগে আক্রান্ত হবার তথ্য উপস্থাপিত হয়ে আসছে এবং তারই প্রভাব পড়ছে নেশা করার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে হ্রাসের ঘটনার মধ্যদিয়ে। দুই দশক আগেও মনে করা হতো যে, প্রতি রাতে ভোজের সাথে এক গ্লাস রেড ওয়াইন পান করলে আয়ু বাড়তে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন শিশু ও নেশা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. স্কট হ্যাডল্যান্ড।
গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. বিবেক মূর্থি উল্লেখ করেন যে, নেশার কারণে ক্যান্সারের চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে জটিল রোগে আক্রান্ত হবার অন্যতম কারণ হিসেবে সিগারেটকে মনে করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক (স্বাস্থ্য বিষয়ক) ড. মেগান প্যাট্রিক বলেন, ভবিষ্যতের জরিপের স্বার্থে যুব সমাজের চিকিৎসা-প্রণালীকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বেশ ক’বছর যাবত। সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে, উঠতি বয়েসীদের মধ্যে নেশার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। কী কারণে জটিল রোগের বিস্তার ঘটছে সেটি তারা অনুধাবনের পরই নেশা করার কথা ভুলে যাচ্ছেন। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে নেশার প্রবণতা যথেষ্ঠ কমেছে। আবার কোন কোন চিকিৎসাবিদের ধারণা, গাজা, আফিম, ভাঙ-সহ শুকনা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার অবাধে চলায় মদের প্রতি আসক্তি কমছে। যদিও সর্বশেষ এ জরিপে তার কোন আভাস মেলেনি বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন।
Posted ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24