নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধুষ্যিত ওজনপার্কে মসজিদ আলআমানের বার্ষিক সাধারণ সভা ১৭ আগস্ট রোববার বাদ মাগরিব মসজিদের হলরুমে সভাপতি কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসীমউদ্দিনের সাবলীল সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা মোহাম্মদ আলী। স্বাগত বক্তব্যে মসজিদের সভাপতি কবীর চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পর সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আবারও আমরা সাধারণ সভায় মিলিত হতে পেরে মহান আল্লাহ তা’আলার শুকরিয়া আদায় করছি ও সাধারণ মুসল্লিয়ানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, যারা সাধারণ সভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাদেরকে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। তবে একটি আবেদন করছি,যারা আজকে পঠিত রিপোর্ট এর উপর প্রশ্ন-উত্তর পর্বে কথা বলবেন ও পরামর্শ প্রদান করবেন, তারা যেন মসজিদের আদব রক্ষা করে শৃঙ্খলার সাথে সাধারণ সভাকে সফল করতে সহযোগিতা করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক চমৎকার সংক্ষিপ্ত বার্ষিক রিপোর্ট ও শাহজালাল একাডেমীর এডুকেশন কমিটির সেক্রেটারী আনোয়ার হোসেইন খানের রিপোটের উপর পর্যালোচনা। দু’টি রিপোর্টের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাওলানা রশীদ আহমদ, মৌলভী আব্দুল আজিজ, নজরুল ইসলাম কুয়েতী ও বুরহানউদ্দিন কফিল।

বক্তারা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ মসজিদ আল আমান পুর্বের নানান জটিলতা ও প্রতিকুলতা কাটিয়ে উঠতে বর্তমান কমিটি অনেকাংশে সক্ষম হয়েছে এবং সেক্রেটারীর রিপোর্ট অনুযায়ী অচিরেই মসজিদের সিও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টের উপর পর্যালোচনার শেষ পর্যায়ে শহীদুল্লাহসহ কিছু মুসল্লির নিয়ম বহির্ভুত প্রশ্ন করায় মসজিদের সভাপতি কবীর চৌধুরী ক্ষব্ধ হয়ে বলেন, আমরা সবাই মানুষ,তাই আমাদের ভুল হতেই পারে। কিন্তু যারা মসজিদের আদাবকে তোয়াক্কা না করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তারা কখনও ভাল মানুষ তথা মুসল্লি হতে পারেন না। তিনি সবাইকে মসজিদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে এবং শৃঙ্খলার সাথে যে কোনো পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানান।

সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো ছিলেন সামছুল আবেদীন,আবদুস শহীদ মাস্টার, গৌছ এ খান,কামাল পাশা বাহার, সাবেক সভাপতি খলীল আহমদ, সাবেক সেক্রেটারী শরীফউদ্দিন, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ হেলাল ইউ হক বাবুল প্রমুখ।