নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
শোক-সমাবেশে প্রবাসীরা। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪ডটকম।
মুক্তচিন্তার লেখক-কলামিস্ট অধ্যাপক যতীন সরকার এবং ডাকসুর মহিলা ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে প্রগেসিভ ফোরাম-ইউএসএ’র উদ্যোগে একটি আবেগঘন শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে। সভায় প্রবাসের সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী ও সমাজসেবক প্রয়াত এ দুজনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সভাপতিত্ব করেন প্রগেসিভ ফোরামের সভাপতি হাফিজুল হক এবং সভা পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাচ্চু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিরো চৌধুরী। স্মৃতিচারণি বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মামুন, জাকির হোসেন বাচ্চু, প্রাক্তন সভাপতি খোরশেদুল ইসলাম, উপদেষ্টা শরাফ সরকার, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সহ-সভাপতি আখতারুল ইসলাম, জুলফিকার হোসেন বকুল, নুসরাত শাহ আজাদ, জাকির হাওলাদার, প্রমোদ রঞ্জন সরকার, গোলাম মোস্তফা, তাহমীনা শহীদ, সাবেক ছাত্র নেতা মুজাহিদ আনসারী, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কল্লোল দাশ প্রমুখ। সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীনুর রহমানের লেখা প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবিনা হাই উর্বী। গান পরিবেশন করেন রাবেয়া আক্তার ,সুপর্না সরকার রীমা, রেজা রহমান। কবিতা আবৃত্তি করেন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুলেখা পাল, মিনহাজ আহমেদ , রতন কর্মকার, ইসমত হানিফা।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, অধ্যাপক যতীন সরকার, অধ্যাপক মাহফুজা খানম এবং অধ্যাপক বদিউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয় অধ্যাপক যতীন সরকার ও অধ্যাপক মাহফুজা খানমের সাক্ষাৎকার, যা গোটা পরিবেশকে আবেগাপ্লুত করে।
অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রগেসিভ ফোরামের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র সংসদ ও মহিলা পরিষদ। এ সময় উদীচীর শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন কালজয়ী গান “আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে”- যা সভার পরিবেশকে আরও বেদনাময় ও গাম্ভীর্যমন্ডিত করে তোলে।
বক্তারা তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, অধ্যাপক যতীন সরকার ছিলেন জ্ঞানতাপস, প্রখ্যাত মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও উদীচীর সভাপতি, যিনি মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। অন্যদিকে অধ্যাপক মাহফুজা খানম ছিলেন ডাকসুর প্রাক্তন সহ-সভাপতি (১৯৬৬-৬৭), খেলাঘর ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বদানকারী এক সাহসী নারী, যিনি জীবনভর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন।
শোকসভায় প্রবাসী সমাজ সমস্বরে উচ্চারণ করেন, ‘তাঁদের স্বপ্ন, তাঁদের সংগ্রাম এবং তাঁদের আদর্শ আমাদের পথ চলার আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে’।
Posted ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24