বাংলাদেশের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বললো

‘সকলের জন্যে স্বচ্ছ আইনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎসাহিত করছি’

লাবলু আনসার   প্রিন্ট
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫   সর্বশেষ আপডেট : ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

‘সকলের জন্যে স্বচ্ছ আইনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎসাহিত করছি’

বাংলাদেশের সকলের জন্যে আইনের শাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও আইনের শাসনের বালাই নেই, মবক্র্যাসির নামে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। ভয়ের সংস্কৃতি চালু হওয়ায় গণমাধ্যমেও আসছে সঠিক তথ্য। এরফলে জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে ২১ অগাস্ট মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ সংবাদদাতাকে বলেছেন, সকলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করতে হবে।

ই-মেলে পাঠানো প্রশ্ন ও উত্তর এখানে হুবহু উপস্থাপন করা হলো।
ন্যায় বিচার ও মানবকি র্মযাদা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মূল লক্ষ্য ছিল গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের। সেই আন্দোলন কেবল একটি রাজনতৈকি পালাবদল নয়, সেটি ছিল একটি নতুন যুগের সূচনা। যেখানে ছিল মানুষের অধকিার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রের জবাবদহিতিা নিশ্চিতের প্রত্যাশা। দু:খজনক হলেও সত্য আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে চরম র্ব্যথতার পরচিয় দিয়েছে গত এক বছরে। এখনও নির্বিচারে গ্রেফতার চলছে, বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড অব্যাহত রয়েছে, মবক্র্যাসী নামক ভয়ংকর একটি কালচারের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা এবং বাড়ি-ঘর লুটতরাজের পর অগ্নিসংযোগ করার মধ্যদিয়ে। এহেন হিংসাত্মক আচরণে লিপ্তদের গ্রেফতার করা দূরের কথা, পুলিশ নিকটেই দাড়িয়ে থেকে র্দুবৃত্তদের আস্কারা দিতে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় নিপতিত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে চলমান মানবাধিকার সংকটের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে। কানাডার গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাটিক গভর্নেন্স (এঈউএ) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারী নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এই হত্যাকান্ডগুলো ঘটছে। যদিও এসব হত্যাকান্ডের সঠিক সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অনেক খবর প্রকাশ পায়নি। এতে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। এমন নাজুক পরিস্থিতির পরও কী ট্রাম্প প্রশাসন নিরব ভূমকিা পালন করেই যাবে-এমন জিজ্ঞাসা বাংলাদেশী আমেরিকানদের। এ ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভিমত কী।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ প্রশ্নের জবাবে বলেছে, সাংবাদিকসহ সকলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সমর্থন করে। কারণ, এসব হচ্ছে যে কোন গণতন্ত্রের জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বাংলাদেশসহ সকল দেশের প্রতি আমরা আহবান জানাচ্ছি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সকলের সভা-সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে।

অপর প্রশ্ন ছিল : আইন ও সালিশ কেন্দ্র ১০ আগস্ট জানিয়েছে মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বছরে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১১১ জনকে মবক্র্যাসির শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে । আর এসব হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে পুলিশ অথবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সামনেই। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারেও সীমাহীন নির্লিপ্ততার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন পর্যবেক্ষণ আছে কি?
জবাব : সকল বাংলাদেশীর জন্যে আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে লক্ষ্য ধার্য করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সকল বাংলাদেশীর জন্যে জবাবদিহিতার পাশাপাশি ন্যায্য ও স্বচ্ছ্ব আইনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎসাহিত করছি।

(Question : The main goal of last year’s student movement was to establish justice, human dignity and democratic rights in Bqngladesh. Sadly, the truth is, the interim government formed in the movement has displayed extreme failure to meet those expectations of the people. In many cases, people’s safety is not at all.

Supporters of pusted Prime minister Sheikh Hasina or members of Awami League  is also publicly beaten in the mysterious silence of the police. Owners of the top business organization or industrialists in Bangladesh are also being harassed by  filed so called murder cases. Several journalists and editors have been detained in the murder case without valid inquiree after the arrest many monts ago. Hundreds of journalists have been dismissed. No media is brave in revealing the truth for fear of the administration’s action.

The human rights organization ‘Ain o salish kendra’ (ASK) has expressed disappointment in the last one year’s governance system. The Global Center for Democratic Governance, a Canadian human rights organization, has also expressed deep concern from Bangladesh’s situation. In this situation, how long silenced-the state dept. or trump administration? Bangladeshi Americans also wants to answer regarding this silence.

Answer: · The United States supports freedom of expression, including for journalists, as an essential element of any democracy.  We urge all countries, including Bangladesh, to respect freedom of expression, peaceful assembly, and association for all.

Question : ‘Ain o salish kendra’ (ASK) said on August 10  that at least 111 people in Bangladesh have been killed in one year of the government led by Muhammad Yunus. And the killings took place in front of the police or law enforcement forces. There have also been allegations not for the arrest of those involved in the killings. Does the State Department have any observations in this regard?

Answer· We welcome the Interim Government’s goal of ensuring security and the rule of law for all Bangladeshis.

We encourage Bangladesh’s Interim Government to ensure accountability as well as fair and transparent legal processes for all individuals.)

 

 

Facebook Comments Box

Posted ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

nyvoice24 |

Address
New York
Phone: 929-799-2884
Email: nyvoice24@gmail.com
Follow Us