বিশেষ সংবাদদাতা
প্রিন্ট
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
৭৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠাকালিন ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ নামটি ফিরে পাচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী নাম পরিবর্তনের এই নির্দেশ কার্যকরী করতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।
উল্লেখ্য, প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প এমন চেষ্টা করেছিলন। আরো উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জর্জ ওয়াশিংটনের হাত ধরে, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটির নাম বদলে যায়। ‘পারমাণবিক যুগে’ যুদ্ধ ঠেকানোই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারে থাকবে এই বিবেচনায় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের নাম ‘প্রতিরক্ষা’ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে পেন্টাগণ ডাকা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর তদারককারী মন্ত্রণালয়। ১৯৪৯ সালে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি সংশোধনী আইন’ কংগ্রেসে পাশ না হওয়া পর্যন্ত এটি যুদ্ধ মন্ত্রণালয় নামেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে কংগ্রেসের উভয়কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের পরিপূরক বিল পাশ করা তেমন সমস্যা হবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সে আমেজেই ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ নামটি ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়’র বিকল্প হিসেবে এখোন থেকেই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পিটে হ্যাগসেথকে পাশে নিয়ে হোয়াইট হাউজে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প স্বাক্ষর করেন নয়া এই আদেশে। এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করছি এটিই এখোন যথার্থ হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানের যুদ্ধজনিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ নামটি যথার্থ। ট্রাম্প বলেন, বিশ্বে এখোন আমাদের সামরিক বাহিনী হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। সাজ-সরঞ্জামেও আমরা শ্রেষ্ঠতম অবস্থানে। এযাবতকালে আমরা যে সমস্ত যুদ্ধ-সরঞ্জাম তৈরী করেছি সেগুলোও সবচেয়ে সেরা। এ সময় পিটে হ্যাগসেথকে ‘যুদ্ধমন্ত্রী’ অভিহিত করে কিছু বলার আহবান জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হেগসেথ বলেন, এটি শুধু নাম পরিবর্তনের একটি নির্দেশনা নয়, এটি হচ্ছে মন্ত্রণালয়টিকে যথাস্থানে পুনরুজ্জীবিত করার সামিল। যুক্তরাষ্ট্র কেবল প্রতিরক্ষা নয়, দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আক্রমণে যেতেও দ্বিধা করবে না। এ কারণে আগের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় নামটিই যথাযথ। এটি একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের মনোযোগেও বদল আনবে।
স্বাক্ষরের এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, ব্যয় কাটছাটের নির্দেশ বিদ্যমান থাকাবস্থায় নাম পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কত ব্যয় হবে সে তথ্য কী তার কাছে আছে? জবাবে ট্রাম্প বিস্তারিত বলেননি। ‘খুব বেশী নয়। বেশী ব্যয় ছাড়াই মন্ত্রণালয়টিকে যথাস্থানে অধিষ্ঠিত করতে চাই আমরা। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহনের পর অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প। ‘গালফ অব মেক্সিকো’র পরিবর্তে ‘গাল্্ফ অব আমেরিকা’ করেছেন। ৭টি মার্কিন ঘাটির নামও পরিবর্তন করেছেন গত জুনে।
Posted ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24