নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে বিদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাসদের এক নেতা। তিনি জানতে চেয়েছেন, “কেন এই বিদেশী নাগরিকেরা এই দেশের সরকার পরিচালনা করছে?”
জাসদ নেতার দাবি অনুযায়ী, সরকার পরিচালনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনই বিদেশি নাগরিক বা একাধিক দেশের নাগরিকত্বধারী।
পোস্টে উল্লেখিত তালিকায় দেখা যায় —
১. প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস — মার্কিন নাগরিক (তাঁর আরও জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের নাগরিকত্ব থাকার কথাও দাবি করা হয়েছে)।
২. পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান — ব্রিটিশ নাগরিক।
৩. আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী — সুইস নাগরিক।
৪. জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান — মার্কিন নাগরিক।
৫. প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী — অস্ট্রেলীয় নাগরিক।
৬. বিশেষ সহকারী (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সুফিউর রহমান — সুইস নাগরিক।
৭. বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) শেখ মাইনু উদ্দিন — মার্কিন নাগরিক।
৮. বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব — ডাচ নাগরিক।
৯. বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার কর্মকর্তা আশিক চৌধুরী — ব্রিটিশ নাগরিক।
১০. সাংবিধানিক সংস্কার কমিটির প্রধান ড. আলী রিয়াজ — মার্কিন নাগরিক।
১১. নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার — মার্কিন নাগরিক।
১২. গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ — ব্রিটিশ নাগরিক।
১৩. দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের সদস্য মোস্তাক হোসেন খান — ব্রিটিশ নাগরিক।
১৪. প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার — মার্কিন নাগরিক।
১৫. বাংলাদেশের মেক্সিকোতে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী — মার্কিন নাগরিক।
১৬. প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব শাজিব এম. খায়েরুল ইসলাম — মার্কিন নাগরিক।
পোস্টে আরও বলা হয়, “এরা কেউই প্রকৃত বাংলাদেশি নন। বিদেশি বণিক ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মিলে এই দেশের সরকার পরিচালনা করছে, যারা দেশ বিক্রির পর বিদেশে পালিয়ে যাবে।”
ফেসবুক পোস্টটি প্রকাশের পর অনলাইনে এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মন্তব্য করছেন, এই তথ্যগুলোর সত্যতা সরকারি বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে যাচাই করা প্রয়োজন।
সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Posted ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24