অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ
ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আইনের শাসন কাকে বলে’ তা দেখিয়ে দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা হবে, যেখানে জনগণ বিশ্বাস করবে আইন সবার জন্য সমান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের এক কর্মশালায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়াই ইসির মূল লক্ষ্য।
প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো (পয়েন্ট আকারে):
১. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতা:
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের মন্তব্য: এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আইনের শাসন ও নিরপেক্ষতার প্রকৃত উদাহরণ উপস্থাপন করতে চায়।
লক্ষ্য: জনগণ এমন একটি নির্বাচন দেখুক যেখানে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা থাকবে এবং সবাই বিশ্বাস করবে আইন সবার জন্য সমান।
২. নির্বাচনের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা:
সিইসির লক্ষ্য: একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা, যেখানে প্রতিটি ভোটার নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয়তা: একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনিক দক্ষতা ও নৈতিক দৃঢ়তা দুটোই দরকার। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাই এর মূল ভিত্তি।
৩. ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব:
প্রিজাইডিং অফিসারই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’ হবেন। আইন অনুযায়ী সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্ব তার ওপরই থাকবে।
নির্দেশনা: প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করুন, আইন প্রয়োগ করুন, তবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন— এটাই আপনার কর্তব্য।
সতর্কতা: কর্মকর্তারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্ষমতা প্রয়োগে গাফিলতি করলে তা সহনীয় হবে না।
৪. প্রশিক্ষণে ভিন্নতা আনার নির্দেশ:
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ, যাদের আগে ভোটগ্রহণের অভিজ্ঞতা নেই, তারাও দায়িত্ব পালনে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
পদ্ধতি: ‘ওয়ান সাইজ ফিটস অল’ পদ্ধতিতে নয়, বরং অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনায় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করতে হবে।
৫. নির্বাচন পরিচালনার প্রধান চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি:
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সিইসি নিরাপত্তা ইস্যুকে উল্লেখ করেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়।
সমন্বয়: এজন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সফল নির্বাচন আয়োজনের মূল চাবিকাঠি হলো প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়।
নতুন সেল গঠন: দ্রুত যোগাযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসি একটি ‘সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল’ এবং ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিট’ গঠন করছে।
৬. ডিজিটাল অপপ্রচার মোকাবিলা:
ভুয়া তথ্য মোকাবিলা: নির্বাচন কমিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ও এআই-ভিত্তিক অপপ্রচার মোকাবিলায় ইতোমধ্যে একটি সেল গঠন করেছে।
জনসচেতনতা: এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে আরও প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে।
৭. কমিশনের সমর্থন ও প্রত্যাশা:
সিইসির আশ্বাস: কমিশন হিসেবে আমরা কর্মকর্তাদের পূর্ণ সমর্থন দেব।
আশাবাদ: এই নির্বাচন প্রমাণ করবে— বাংলাদেশে আইন ও গণতন্ত্র এখনও টিকে আছে। কমিশন সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে।
Posted ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24