নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
প্রতীকী ছবি
১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলতি বছরের ২৮৫ দিনে আমেরিকায় ৩৩১টি বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছে ৩৩১ জন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ১৫০৬ জন। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে একটি করে হামলায় একজন করে নিহত হয়েছে। ফেডারেল স্বাস্থ দফতর ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন’ তথা সিডিসি ও ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছর ১২ মাসে ৩৪৫টি বন্দুক হামলার ঘটনায় মারা গেছে ৩৮৫ জন এবং আহত হয়েছে ১৬৭৯। গত বছরের ১২ মাসের তুলনায় এবারের ৯ মাস ১২দিনে হতাহতের ঘটনা না বাড়লেও ২০১৯ তথা করোনাকালিন সময়ের চেয়েও তা কম।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর সবচেয়ে বেশী বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে টেক্সাস স্টেটে ২৮টি। দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং ওহাইয়ো স্টেট-১৮টি করে। পেনসিলভেনিয়া এবং টেনেসী স্টেটে ১৩টি করে ঘটনা ঘটেছে। লুইঝিয়ানা-১২, মিশিগান এবং নর্থ ক্যারলিনা-১১, নিউইয়র্ক, আলাবামা এবং সাউথ ক্যারলিনা স্টেটে ঘটেছে ৯টি করে বন্দুক হামলার ঘটনা। এ বছর সবচেয়ে বেশী ঘটেছে ৫ জুলাই-১৩টি। ১৪ জুনে ৭টি এবং ৬টি করে বন্দুক হামলার রেকর্ড হয়েছে ১৫, ২২ জুন ও ৪ জুলাইয়ে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাড়িভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। অপরদিকে মানুষের আয় কমেছে। এরফলে দুর্বৃত্তরাও বেপরোয়া আচরণে লিপ্ত হয়েছে। যদিও বন্দুক হামলার জন্যে সরাসরি চুরি-ছিনতাই কিংবা ডাকাতির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে খুবই কম।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী তুমুল আন্দোলন হয়েছে করোনাকালেও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ডেমক্র্যাটরা সচেষ্ট ছিলেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করতে। কিন্তু রিপাবলিকানদের অকুন্ঠ সমর্থন পাওয়া যায়নি। এরফলে একটি আইন হলেও তা একেবারেই ঢিলেঢালা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে যে, বন্দুক ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের চাঁদা দিচ্ছেন রিপাবলিকানদের নির্বাচনী তহবিলে। তুলনামূলকভাবে কম হলেও ডেমক্র্যাটরাও চাঁদা পেয়ে আসছেন। একারণেই বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আইন প্রণয়নে কেউই আন্তরিক অর্থে সক্রিয় হচ্ছেন না।
এদিকে, পুনরায় ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে অধিষ্ঠিত হবার পর সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থিরা হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। পুলিশও আগের মত সরব হচ্ছে না ফোন পাবার পরও। কারণ, ২০২০ সালের ২৫ মে সিনেসোটায় মাত্র ২০ ডলালের একটি জালনোট ঘিরে জর্জ ফ্ল্রয়েড নামক এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতারের পর ডেরেক চৌভিন নামক এক পুলিশ অফিসার কর্র্র্তৃক তার ঘাড়ে পা দিয়ে চাপ দেয়ায় অকুস্থলেই জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এহেন হত্যাযজ্ঞের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সারা আমেরিকায় আন্দোলন হয়েছে দীর্ঘসময়। পেরেক চৌভিনের সাড়ে ২২ বছরের কারাদন্ড হয়েছে। এরপর থেকেই টেলিফোন পেলেও কোন পুলিশ স্বল্পতম সময়ে সাড়া দিচ্ছেন না।
Posted ৯:০২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24