বিশেষ সংবাদদাতা
প্রিন্ট
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা’য় লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন করেন প্রবাসীরা। ছবি-ফাইল ফটো।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইটালি, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, ন্যাদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে আবারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নেয়ার যে আন্দোলন চলছে তাকে সুসংগঠিত করে আরো বেগবান করার অভিপ্রায়ে শীঘ্রই ‘আন্তর্জাতিক সম্মেলন’র চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ১৪ অক্টোবর রাতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণকারিরা এমন মতামত দিয়েছেন। এ সময় চলমান সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-মানববন্ধন-বিক্ষোভ-স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচির আয়োজকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট জঙ্গি তৎপরতার মধদিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পর বাংলাদেশ আবারো জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নামক ভ’খন্ডটিকে আফগান-পাকিস্তানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। উন্নয়ন-প্রগতির নাম-নিশানা মুছে ফেলে একাত্তরের পরাজিত শক্তির বর্বরতা চালানো হচ্ছে। এহেন অবস্থায় বাঙালিরা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছে। আবারো উন্নয়ন ও প্রগতির ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনার জন্যে মাঠে নেমেছেন। এ অবস্থায় বিচ্ছিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচিকে একটি ব্যানারে আনা জরুরী। এজন্যে সারাবিশ্বের বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় অভিষ্ঠলক্ষ্যে পৌঁছানোর আকুতি প্রকাশ করেন। এবং এই সংকল্পে শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সমন্বয়ে মুক্তিকামি সকল বাঙালিকে নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ অথবা আন্তর্জাতিক সমাবেশ করার ওপর সকলে জোর দিয়েছেন। এ সময় এই ভার্চুয়াল বৈঠকের সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডেন্ট, বিজ্ঞানী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী বলেন, আসছে ১৬ নভেম্বর রোববার নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে জুইশ সেন্টারে ‘অন্তরঙ্গ জানালায় বঙ্গবন্ধু’ নামক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হবে এবং এটি অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের কর্মকর্তাগণের পরিচিতি উপলক্ষে। সেদিন আরো বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ তৈরী হবে এবং এখোন থেকেই আমরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন/সমাবেশের আলোচনা করে যেতে পারি। আরো কয়েকজন এই সমাবেশ জানুয়ারিতে করার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেন-দরবারের গুরুত্বারোপ করেছেন। সোস্যাল মিডিয়াকে আরো শক্তিশালীভাবে উপস্থাপনের ব্যাপারেও সকলে মতামত দিয়েছেন। কারো কারো মতে আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশটি ১৬ ডিসেম্বর হলে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে ইতিহাসের প্রয়োজনে। একাত্তরে প্রবাসীরা যেভাবে গর্জে উঠেছিলেন, এখনো আবার সেই ভ’মিকায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন বাঙালি-চেতনা লালিত প্রবাসীরা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়ার সহযোগিতায় এ বৈঠক সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ। এনিয়ে শীঘ্রই আবারো বৈঠকে মিলিত হবেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ রাখা ও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ-সমাবেশ অব্যাহত রাখার কথাও বলা হয়। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে সমাপ্তি ভাষণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। (সে ভাষণের আলোকে শীঘ্রই বিস্তারিত রিপোর্ট আসছে)।
Posted ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24