নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় নির্বাচিত মেয়র তৈয়ব। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪ডটকম।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি সিটির মেয়র পুননির্বাচিত এবং ২ বাংলাদেশী কাউন্সিলম্যানের নির্বাচিত হবার মধ্যদিয়ে মার্কিন রাজনীতি ও প্রশাসনে বাংলাদেশীদের উত্থানের ইতিহাসে নবঅধ্যায়ের সংযোজন ঘটলো। আর এই ইতিহাস গড়লেন ফিলাডেলফিয়া সিটি সংলগ্ন মিলবোর্ন সিটির মেয়র মাহাবুবুল আলম তৈয়ব (৪৭)। ২০২১ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে চট্টগ্রামের সন্তান তৈয়ব সিটি মেয়র হিসেবে বিজয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশী আমেরিকান মেয়রের পরিচিতি পান। চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে আসন্ন ৪ নভেম্বরের নির্বাচনেও পুনরায় প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়ন না চাওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এ ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে ৪ নভেম্বরের পর। একইসাথে এই সিটির কাউন্সিলম্যান হিসেবেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সন্তান সায়েদ রিয়াদ (২১) এবং নওগাঁর সন্তান শাহিন আলম (৩৫)। আরেকজন হলেন কিম হারপার, তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২জন কাউন্সিলম্যান
সায়েদ রিয়াদ (বামে) ও শাহিন আলম। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪ডটকম।
উল্লেখ্য, ৫ কাউন্সিলম্যানের এই সিটির অপর দুটি আসনে এবার নির্বাচন হচ্ছে না। সেটির একটিতে রয়েছেন চট্টগ্রামের সন্তান সালাহউদ্দিন মিয়া এবং আরেকজন হলেন ক্রিস বেসলিস। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহনের পর মাহাবুবুল আলম তৈয়ব দুই হাজার সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে এসে মিলবোর্ন বরোতে বসতি গড়েছেন । এখানেও তিনি একটি ডিগ্রি গ্রহণের পাশাপাশি বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়াস্থ বাংলাদেশীদের নানা কর্মকান্ডে নিবেদিত থেকেই মিলবোর্ন সিটির মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হবার আগে টানা ৮ বছর (দুই টার্ম) কাউন্সিলম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থাৎ জনসেবাকেই তিনি বহুজাতিক এ সমাজে অন্যতম অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ২০২২ সালে মেয়র হিসেবে ক্ষমতা গ্রহনের পরের বছর মিলবোর্ন সিটির সেলার এভিনিউর অংশবিশেষের নাম ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’ করেছেন। এই সিটিতে স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণের স্বপ্নও রয়েছে তার।
এদিকে, দু’বছর বয়সে মা-বাবার সাথে ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর মিলবোর্নেই বেড়ে উঠেছেন সায়েদ রিয়াদ। আপার ডারবি হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে ম্যাকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্যে অধ্যয়ন করছেন রিয়াদ। পাশাপাশি কম্যুনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডেও অংশ নিচ্ছেন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই তরুণ বয়সেই সায়েদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হলেন।

মিলবোর্ন সিটির সেলার এভিনিউর অংশবিশেষের নাম ‘বাংলাদেশ এভিনিউ’ করেছেন মেয়র মাহাবুবুল আলম তৈয়ব। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪ডটকম।
নওগাঁর সন্তান শাহিন আলম বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি গ্রহণের পর ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পেনসিলভেনিয়ার আপার ডারবিতে বসতি শুরু করেছেন। কম্যুনিটির সকল কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার সুযোগ দেয়ায় মিলবোর্নের ভোটারগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মেয়র তৈয়ব এবং কাউন্সিলম্যান হতে যাওয়া সায়েদ ও শাহিন। এই তিনজনকেই প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বীর চট্টলার আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত ‘আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা-প্রেসিডেন্ট মো. কাদের মিয়া, যুক্তরাষ্ট্রস্থ ‘কুলিয়ারচর ইসলামিক সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুল হক, পেনসিলভেনিয়া কম্যুনিটির অন্যতম লিডার ডা. ইবরুল চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24