অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্ট
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ১১:০০ পূর্বাহ্ণ
ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখবে। সেই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না। আল জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ কথা বলেছেন।
আরাঘচি বলেন, ‘আমরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করব না – আমাদের প্রতিপক্ষরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে যা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, চাপ বা রাজনীতির মাধ্যমে তা অর্জন করতে পারবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরান ‘ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করবে না, কারণ কোনো যুক্তিসঙ্গত জাতি তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ত্যাগ করতে রাজি হবে না।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘আক্রমণকৃত স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো পারমাণবিক উপকরণ রয়েছে।’ তবে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ‘অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়নি।’
‘ইসরায়েল আরেকটি পরাজয়ের সম্মুখীন হবে’
আল জাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক বলেন, ‘আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং জায়নবাদী শাসনব্যবস্থার কাছ থেকে প্রতিকূল আচরণ আশা করি। আমরা সকল স্তরে প্রস্তুতির শীর্ষে আছি। ভবিষ্যতের যে কোনো যুদ্ধে ইসরায়েল আরেকটি পরাজয়ের সম্মুখীন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক যুদ্ধ থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং একটি বাস্তব যুদ্ধে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছি। যদি জায়নবাদী সরকার (আবারও) আক্রমণ শুরু করে, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তেহরান প্রতিশোধ নেয়। নয় দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার পর ২২ জুন ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ভারী বোমারু বিমান দিয়ে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, এতে কোনো হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি।
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিক ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24