নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
পারিবারিক/আত্মীয়তা কোটায় অভিবাসন ভিসার জন্যে আবেদনকারি এবং সুবিধাভোগি সকলের ডিএনএ টেস্ট-সহ আঙ্গুলের ছাপ, মুখ এবং আইরিস স্ক্যানসহ সকল ধরনের টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যিনি আত্মীয়-স্বজনকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার জন্যে আবেদন করবেন তারও ব্যাকগ্রাউন্ড পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি যাদের জন্যে আবেদন করছেন তাদের সাথে রক্তের/জাগতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি নিয়ে যাতে প্রতারণার আশ্রয় কেউ না নিতে পারেন সেজন্যে এমন প্রক্রিয়া অবলম্বনকে জরুরী ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। নয়া এই পদ্ধতি অবলম্বনের জন্যে জনমত যাচাই করা হচ্ছে এবং সামনের বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নাগরিকেরা ফেডারেল ওয়েবসাইটে তা উল্লেখ করতে পারবেন। সম্পর্কের ব্যাপারটি যথাযথভাবে নিরূপণের অভিপ্রায়ে প্রস্তাবিত এ প্রক্রিয়ায় সকল বয়েসী মানুষকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অর্থাৎ বর্তমানের রীতি অনুযায়ী ১৪ বছরের কম এবং ৭৯ বছরের অধিক বয়েসীদের ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন ছিল না। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাসহ গ্রীণকার্ডধারীদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়ার সময় টিপসই ও ছবি প্রদানের ব্যাপারটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ অপরাধে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্টদের গ্রীণকার্ড বাতিলের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার সাথে ডিএনএ সহ আনুষঙ্গিক পদক্ষেপের প্রস্তাব এলো বলে ইমিগ্রেশন এটর্নীরা মনে করছেন।
ইউএস সিআইএস (সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস)’র ধারণা, বিগতদিনে সম্পর্ক যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অনেক ছেদ থাকায় কেউ কেউ বিদ্যমান আইনের সাথে প্রতারণা করেছে, যারা ভিসা পাবার যোগ্য তাদের পরিবর্তে অন্যেরা পেয়েছে। নয়া এই পদ্ধতি চালু হলে জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধ করা অনেকটা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, এই প্রক্রিয়া অবলম্বনকারিগণের ব্যাকগাউন্ড বারবার যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে না। অনাদিকাল একই সিস্টেমে তা যাচাই করা যাবে প্রযুক্তির সুবাদে।
ছবির ক্যাপশন-লগো
Posted ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24