আসলাম আহমাদ খান
প্রিন্ট
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট : ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারিগণের কয়েকজন। ছবি-এনওয়াইভয়েস২৪ ডটকম।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির উত্থান, জঙ্গিবাদের সম্প্রসারণ, নারী ও সংখ্যালঘু নির্যাতন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন, বিচারহীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, গণধর্ষণ, মব নৈরাজ্য ও তথাকথিত আগস্ট বিপ্লবের নামে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বিদেশী শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিশ্বের ১৩ দেশের ৩২সংগঠনের সমন্বয়ে ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সেক্যুলার এ্যান্ড ডেমাক্রেটিক বাংলাদেশ’ নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে ২ নভেম্বর রোববার।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী, নিউজার্সিও প্লেইন্সবরো সিটির কাউন্সিলম্যান ড. নুরুন নবীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠিত এক সভার মাধ্যমে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর প্রধান সমন্বয়কারির দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রদত্ত বক্তব্যে ড. নুরুন্নবী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ একাত্তরের পরাজিত শক্তির হাতে জিম্মি, আর এমন জিম্মিদশার জন্যে মীর জাফরের মতো সহায়তা করছে অশান্তির দূত ড. ইউনূস। বাংলাদেশকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য দ্বিতীয় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন, সে যুদ্ধে বিশ্বের সকল বাংলা ভাষা-ভাষীদের সম্পৃক্ত করার জন্যই এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবাসী বাঙালিরা যে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিল,এবার এই সংগঠনও সেই ভূমিকা পালন করবে। এজন্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত এবং জয় বাংলা স্লোগান হৃদয়ে ধারণকারি সকল প্রবাসীর আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
ভার্জিনিয়া থেকে অংশগ্রহণরত প্রকৌশলী রানা হাসান মাহমুদ এবং নিউইয়র্কের এ্যাকটিভিস্ট স্বীকৃতি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় পৌনে চার ঘন্টাব্যাপী এই সভায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কবি, সাহিত্যিক, এ্যাক্টিভিস্ট সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার স্বনামধন্য ব্যক্তিরা ছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন : নিউইয়র্কের শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর, জার্মানি থেকে তনয় আলম, ফাতেমা রহমান রুমা, দেলোয়ার জাহেদ বিপ্লব, ফজলুর রহমান, অস্ট্রেলিয়া থেকে মনির রহমান ও আইভী রহমান, সৌদি আরব থেকে ড. কাজী মাসুদ, নরওয়ের এ্যাক্টিভিস্ট ভায়োলেট হালদার, লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, আহমেদ মোসলেহ উদ্দিন খোকন, সৈয়দ আবেদিন, সুজাত মনসুর, প্রফেসর ড. আরিফ খান, সুইজারল্যান্ডের রহমান মামুন, নেদারল্যান্ড থেকে সাংবাদিক তৌফিক মারুফ, কানাডা থেকে শায়লা আহমেদ লোপা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল আওয়াল, কাজী দেলওয়ার এলাহী, হিমাদ্রি রায়, নাদিম ইকবাল, শামীম আহমেদ, সৈয়দ শাখাওয়াৎ হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, তাহসিন শাওন, গোলাম কিবরিয়া, কাজী মামুন, ড. বামন দাস, ইটালি থেকে রবিউস সানি, নিউ ইংল্যান্ড থেকে মাহফুজুর রহমান, টিপু চৌধুরী, বোস্টন থেকে উজ্জ্বল বড়ুয়া, ওহাইয়ো থেকে নিরু কামরুন নাহার, টেক্সাস থেকে সৈয়দ মনোয়ার রাশেদ, হিউস্টন থেকে ডাকসুর সাবেক ছাত্রী মিলনায়তন সম্পাদিকা নাহিদা নাসের ইয়াসমিন, পেনসিলভেনিয়া থেকে ড. আরিফুল ইসলাম, নিউইয়র্ক থেকে জাকারিয়া চৌধুরী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, মঞ্জুর কাদের, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, অমর আলী, জয়তূর্য চৌধুরী, ঝর্ণা চৌধুরী, সুব্রত তালুকদার এবং আসলাম আহমাদ খান। পরবর্তীতে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে সকল কর্মসূচিতে সরব থাকার সংকল্প ব্যক্ত করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ইউএসএ চ্যাপ্টার।
সভায় অংশগ্রহণকারিরা এই উদ্যোগের জন্য ড. নুরুন নবীকে ধন্যবাদ জানান।
সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর এ প্ল্যাটফর্মের নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মেটিক্যুলাস প্রতারকের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সকলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রকৌশলী রানা হাসান মাহমুদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বিশ্বাস করে কেবল তারাই এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও জয় বাংলা শ্লোগানে বিশ্বাস করে না, তাদের এই সংগঠনে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম ‘দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা-২০২৬’ তে বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী কবি, লেখক ও প্রকাশকদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
সাংবাদিক তৌফিক মারুফ বলেন, এটি কোন চিরাচরিত সংগঠন নয়। অন্তর্বর্তী এবং দূরবর্তী লক্ষ্য নিয়ে এ সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এ সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মিনহাজ আহমেদ সাম্মু বলেন, এ সংগঠন বিশ্বর সকল দেশে, স্টেটে, সিটিতে, কাউন্টিতে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করবে।
সভায় অংশগ্রহণকারিরা এ সংগঠনকে গণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত করার জন্য ড. নবীকে অনুরোধ করেন।
ড. নুরুন নবী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিচারের নামে জামাত-শিবির-ইউনূস কর্তৃক পরিচালিত ক্যাঙ্গারু কোর্টে যে প্রহসন চলছে তা জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানবাধিকার সংগঠনের দৃষ্টিগোচর করার জন্য প্রতিবাদলিপি তৈরীর জন্য ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ইঞ্জিনিয়ার রানা হাসান মাহমুদের সমন্বয়ে তিন সদসে্েযর কমিটির উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচি অচিরেই ঘোষণা করা হবে বলে জানান।
Posted ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
nyvoice24 | New York Voice 24